নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নে আবুল হাশেম খান বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ওই ইউনিয়নের কাটাদিয়া বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার হোসেন আহম্মেদের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয়রা। আবুুল হাশেম খান বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা গোপনে মাদ্রাসার নাইটগার্ড নিয়োগ বাতিল এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এনায়েত হোসেন খান ও সুপার মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিম খানের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
বক্তারা বলেন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে এলাবাসীকে উপেক্ষা করে, না জানিয়ে গোপনে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে অন্য ইউনিয়নের একজন বাসিন্দাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী বারবার মাদ্রাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন নিয়োগের সময়ে জানাবেন। কিন্তু তিনি জানাননি। এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও তা চাপিয়ে রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা চুন্নু বলেন, আমি সুপারের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা চেয়েছেন। আমি গরুও বিক্রি করেছি। কিন্তু পরে শুনি ৮ লাখ টাকায় দাড়িয়ালের একজনকে গোপনে নিয়োগ দিয়েছে। চুন্নুর অভিযোগ, নাইটগার্ড পোস্টটি অত্যান্ত নি¤œ শ্রেনীর জন্য। মাদ্রাসার দেখাশোনার জন্য সার্বক্ষণিক থাকা দরকার। সেই পদে এলাকার গরিব মানুষদেরও আবেদন করার সুযোগ দেননি মাদ্রাসার সুপার।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক বিদ্যুৎসাহী গোলাম ফারুক হাওলাদার বলেন, আমি শুনেছি নিয়োগ বাণিজ্য করে নাইট গার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা অন্যায়। মাদ্রাসার সুপার, সভাপতি মিলে এলাকাবাসীকে বঞ্চিত করে অন্য এলাকার লোক নিয়োগ দেওয়াটা ঠিক না। আমি যখন বিদ্যুৎসাহী ছিলাম তখন সুপারের নেতৃত্বে অনেক অনিয়ম হয়েছে। তার প্রতিবাদ করে রোষানলে পড়েছি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ আব্দুল হালিম খান বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে নাইটগার্ড নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। ঘুষ নিয়ে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। নিয়োগ পরীক্ষায় কোন কোন প্রার্থী অংশগ্রহন করেছিলেন তা দেখতে চাইলে সুপার দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, কাগজপত্র সব বাসায় রয়েছে। পরে সময় করে দেখাবো। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এনায়েত হোসেন খান বলেন, বিধি অনুসারে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। যারা অভিযোগ করছেন তারা আসলে না জেনে অভিযোগ করেছেন।
Leave a Reply