ছোট-বড় সবারই এখন নিত্যদিনের সঙ্গী ল্যাপটপ। কোলে বসিয়ে, টেবিলে রেখে অথবা বিছানায় শুয়ে ব্যবহারকারীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্লগিং, গেম অথবা চ্যাট করে পার করে দেন। যারা কোলে বা পায়ের ওপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করেন, তাদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ।
পেডিয়াট্রিকস মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত নিবন্ধটিতে মূলত এক থেকে বারো বছর বয়সী কিশোরের সমস্যা সামনে রেখে রোগটি তুলে ধরা হয়েছে। ‘Erythema ab igne’ বা চামড়া পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কিত সমস্যার প্রথম বিবরণ প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। সে সময় ব্যাপকভাবে সমস্যাটি অনুভূত না হলেও ইদানীং তা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
বারো বছরের কিশোরটি আসলে ছিল ভিডিও গেমে আসক্ত। মাসের পর মাস সে অবচেতন মনে ল্যাপটপ কোলে রেখে খেলায় মজে ছিল। কখন যে কোলের ল্যাপটপের তাপমাত্রা ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল, তা খেয়াল করেনি। দিনের পর দিন এমন বিপজ্জনক তাপমাত্রার সংস্পর্শে এসে গায়ের ত্বক পুড়ে যাওয়ায় বীভৎস রূপ ধারণ করে ছেলেটির।
গবেষকদের মতে, ল্যাপটপ থেকে যে তাপ নির্গত হয়, তা মূলত এক ধরনের অবলোহিত রশ্মির বিচ্ছুরণ। ল্যাপটপের অপটিক্যাল ড্রাইভ, ব্যাটারি অথবা ফ্যান থেকে যে তাপ দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন হয়, তার সংস্পর্শে এলে যে কারও ত্বক পুড়ে কুঁচকে যেতে পারে। এমনকি বহুদিন ব্যবহারের ফলে এক ধরনের ত্বক ক্যানসারে পরিণত হতে পারে।
শুধু ল্যাপটপ ব্যবহারকারী নয়, যারা গরম পেতে দীর্ঘক্ষণ স্টোভ, ইলেকট্রিক হিটার, ফায়ার প্লেসের কাছে বসে থাকেন অথবা যাদের স্টোভ, চুলা, হিটার এসবের কাছাকাছি পেশাগত কারণে (রাঁধুনি, বেকারি, স্বর্ণকার) বেশিক্ষণ অবস্থান করেন, তারাও এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাই কোলে রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না।
Leave a Reply