বৃহস্পতিবার, ০৫ Jun ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
সাবরিনারা জীবন নিয়ে খেলেছেন

সাবরিনারা জীবন নিয়ে খেলেছেন

ভিআইপি প্রতারক রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদ করিমের মতো জেকেজি হেলথ কেয়ারের ডা. সাবরিনা ও আরিফুল হক চৌধুরী দম্পতি করোনা মহামারীতে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করেছেন। তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন। টাকা নিয়ে দেন ভুয়া করোনা সনদ। তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এমনকি তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে ঢাকা মহানগর পুলিশ সদস্যদের করোনার নমুনা সংগ্রহের নামে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডা. সাবরিনা ও আরিফুল হক চৌধুরী দম্পতি নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা কয়েক মাস ধরে কারাবন্দি।

স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিল। এ অনুমতি নিয়ে তারা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পিপিইসহ নানা সামগ্রী হাতিয়ে নেন। এর পর শুরু করেন টাকার বিনিময়ে মানুষকে ভুয়া সনদ দেওয়ার কার্যক্রম। জেকেজি হেলথ কেয়ারের করোনা পরীক্ষার কোনো ল্যাব বা পরীক্ষাগার ছিল না। কম্পিউটারে ফল লিখে তা ইমেইলে রোগীর কাছে পাঠিয়ে দিতো জেকেজি হেলথ কেয়ার। এ অভিযোগে বিদায়ী বছরের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর তাদের জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাবরিনার নাম। প্রথমে সাবরিনা জেকেজির সঙ্গে থাকা তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু নিজেকে শেষরক্ষা করতে পারেননি। গত ১২ জুলাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পরই চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন ডা. সাবরিনা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও ঠিকাদারি কাজ করতেন ডা. সাবরিনা। এ কাজ করতে গিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক কর্মকর্তার সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। এ সখ্যের সূত্রেই সাবরিনার হাত ধরে করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পায় অখ্যাত জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বা জেকেজি হেলথ কেয়ার। তারা নমুনা পরীক্ষায় টেকনোলজিস্ট ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের জন্য রাজধানীর তিতুমীর কলেজে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে। ১২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জেকেজির প্রস্তুতি দেখতেও যান সেখানে। পরবর্তী সময় জানা যায় নমুনা সংগ্রহ ও কর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে তিতুমীর কলেজে মাদক ও নারীবাণিজ্যের আখড়া গড়ে তোলা হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে কলেজের কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হলে ধাপে ধাপে ডা. সাবরিনা, আরিফুল হকের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com