বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গবেষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মঞ্জুর আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে অন্যান্য খাতের মতো শিক্ষা খাতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। অন্য খাতের পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলেও শিক্ষার ক্ষতির রেশ থাকবে দীর্ঘদিন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা করোনা সংক্রমণের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় সব খাতই কিছু না কিছু সচল করা হয়েছে। একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখছে সরকার। তবে এটি আর দীর্ঘ করা সমীচীন নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলাও দরকার। নতুন বছরের প্রথম মাসে যেহেতু অর্ধেক পর্যন্ত সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। লম্বা ছুটিতে শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
এখনই আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে যে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায় কীভাবে? শুধু একটি অফিস আদেশ জারি করেই দায়িত্ব শেষ করলে হবে না। স্থানীয় পর্যায়ে পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা মনিটরিং দরকার। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ‘শিক্ষা পুনরুদ্ধার কমিটি’ গঠন করা যেতে পারে।
এ কমিটিতে স্থানীয় সরকার, শিক্ষা প্রশাসন, স্বাস্থ্য, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রতিনিধি থাকতে পারে। এরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মানতে সহযোগিতা করবে। ছাত্র-শিক্ষকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে হবে।
প্রতিদিন ক্লাস না রেখে বিরতি দিয়ে একই ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ভাগ করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান দেওয়া। শিক্ষা পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনায় সরকারের ব্যয় করতে হবে।
Leave a Reply