নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ “চাঁদাবাজ” খ্যাতি দীর্ঘ দিনের। এবার এর সাথে যুক্ত হয়েছে ভুমিদস্যুতা তথা দখলবাজ তকমা। সাংবাদিকতার নামে এ ধরনের বহুল অভিযোগে অভিযুক্ত বরিশালের তথাকথিত সাংবাদিক, কথিত চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও মানবাধিকার কর্মী আনোয়ার হোসেন। চাঁদাবাজীসহ অপসাংবাদিকতার অভিযোগে ইতোপূর্বে বরিশালের একাধিক আঞ্চলিক পত্রিকা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাকে। তারপরও থেমে নেই সাংবাদিক নামধারী এই আনোয়ারের অপকর্ম। সম্প্রতি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকার আবদুর রব খান ও আলম আরা বেগম দম্পোত্তির জমি দখল ও আত্মসাতের মিশনে নেমেছে আনোয়ার। যে কাজে ট্রাম্প কার্ড হিসাবে ব্যবহার করছে ওই জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী নাসিমা বেগম ও তার স্বজনদের। ইতোপূর্বে জমির বৈধ মালিক আবদুর রবের কাছে বিনিময় হিসাবে ৮ শতাংশ জমি অথবা নগত ২ লাখ টাকা দাবী করেছে আনোয়ার। যা দিতে রাজি না হওয়ায় সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে হয়রানী করে যাচ্ছে আবদুর রব দম্পতিকে।
তথ্য সুত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ৪৭ নং কাউনিয়া মৌজার এস এ ২৪৫ নং খতিয়ানের ৮৩৬ নং দাগের ২৫ শতাংশ জমি (সরকারি ভিপি সম্পত্তি) বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে স্ত্রী আলম আরা বেগমের নামে বৈধভাবে লীজ নেন আবদুর রব খান। এর পর থেকে সরকারি তথা সিটি কর্পোরেশনের সকল আইন ও নিয়ম কানুন মেনে ওই জমি ভোগ দখলে আছেন রব খান। কিন্তু শুরু থেকেই ওই জমির এক অংশে বসবাস করে আসছিলো নাসিমা ও তার পরিবার পরিজন। অভিযোগ রয়েছে সম্প্রতি ওই বসতীয় জমিতে ৪ তলা ভবন র্নিমান শুরু করে নাছিমা। যা প্লান বর্হিঃভূত। জমির বৈধ মালিক তথা লীজধারী হলেও নানা আইনী ম্যারপ্যাচে নাছিমাকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়নি রব। একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় সম্প্রতি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় আনোয়ার। এবার ঐ সম্পত্তির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে আনোয়ারের। আর তাই জমি আত্মসাতের লক্ষ্যে যুবলীগ নেতা খান মামুনের সাথে সামান্য পরিচিতি থাকায় সেই সুযোগটিও লুফে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ধুরান্দার আনোয়ার। তাকে ব্যবহার করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে এই জবর দখল কাজে বাড়তি সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মিত প্রতিমন্ত্রী ও খান মামুনের পিছু ছাড়ছে না আনোয়ার। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বরিশাল সফরে আসলেই তার বাংলোতে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করে সে। নাছিমা ও তার স্বজনদের পক্ষ হয়ে রবের জমি আত্মসাতের মিশনে নামে আনোয়ার। বিভিন্ন অফিস আদালতে গিয়ে সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে ওই জমি জবর দখলের অপচেষ্টা শুরু করে সে। যা অব্যাহত আছে। আর এ কাজের দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহার করছে নাছিমা গংদের।
আবদুর রব খান বলেন, বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে না এমন শর্ত দিয়ে ফোনে একাধিকবার ওই ২৫ শতাংশ জমি থেকে ৮ শতাংশ জমি অথবা ২ লাখ টাকা দাবি করেছে আনোয়ার। যা দিতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে হয়রানী করে যাচ্ছে আনোয়ার।
জানা গেছে, বরিশালের আঞ্চলিক দৈনিক দখিনের খবর, কলমের কণ্ঠ ও প্রথম সকালসহ একাধিক পত্রিকায় রিপোর্টার হিসাবে কাজ করে আনোয়ার। কিন্তু উভয় পত্রিকা থেকেই তাকে চাঁদাবাজীসহ অপসাংবাদিকতার অভিযোগে বহিস্কার করা হয়। বরিশালের একাধিক ইটভাটা, নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জিম্মি করে চাঁদাবাজীর বহু অভিযোগ রয়েছে এই আনোয়ারের বিরুদ্ধে। স্বভাব সুলভ এই চরিত্রের কারনে কোন পত্রিকায় স্থান না হওয়ায় অবশেষে অনুসন্ধান নউিজ ২৪ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করে চাঁদাবাজী অব্যাহত রাখে আনোয়ার।
সব বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার বলেন, জমি দখল চেষ্টার সাথে আমার সম্পৃক্ততা আছে। কারন হিসেবে তিনি জানান, তিনিও নাকি ওই জমি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
Leave a Reply