দখিনের খবর ডেক্স ॥ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে এবং নতুন আঙ্গিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি রবিবার পিছিয়ে ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন। গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়।
রিটে সংসদ নির্বাচনের ৪২ দিন আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে এবং নতুন আঙ্গিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারিরও আবেদন করা হয়। পাশাপাশি সে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিতে আবেদন করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি সরকার স্থায়ীভাবে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। এরপর থেকে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার গঠিত হয়ে আসছিল। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে এই পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে।
২০১১ সালের মে মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতির বেঞ্চ এক তত্ত্বাবাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সর্ম্পকিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। তবে একই সাথে সে সময় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দুটি সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
Leave a Reply