দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনা রোধে ‘থানকুনি পাতা’র থেরাপির কথা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল। এক রাতেই থানকুনিপাতার কুসংস্কার গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এলেও কুসংস্কারের রেশ এখনো রয়েছে। করোনার টিকা প্রয়োগের সময় যখন একবারে দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই, টিকা নিয়ে আবারও কুসংস্কার শুরু হলো। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গ্রুপ উঠে-পড়ে লাগল। ফলে শুরুর দিকে কুসংসস্কারের কারণে সাধারণ জনগণের মাঝে ভয় ছিল। প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা টিকা নেওয়ার ফলে সেই ভয় জনগণের মধ্য থেকে ক্রমশ চলে যেতে শুরু করলে। ফলে কুসংস্কার জয় করে দিনদিন টিকাগ্রহীতা বাড়তে লাগল। তার পরেও টিকাগ্রহীতাদের সংখ্যাগত দিক থেকে সারা দেশের মধ্যে বরিশাল এখনো পিছিয়ে রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, প্রথম দিন কেন্দ্র-প্রতি ১০০ জনের তালিকা তৈরি করতেই হিমশিম খেতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। এর জন্য সফটওয়্যারের ত্রুটি যেমন দায়ী ছিল, তেমনি দায়ী ছিল মানুষের আশঙ্কা আর ভয়। অনেকে নাম লিখিয়েও শেষ মুহূর্তে অনুপস্থিত থেকেছেন। দিনদিন সেই ভয় অনেকেই কাটাতে পেরেছেন। কারণ, যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের কারো শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর মেলেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, করোনা টিকাদান কার্যক্রম সারা দেশের ন্যায় বরিশাল বিভাগে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বিভাগের ছয় জেলার ৪৩ কেন্দ্রে এক হাজার ৪১২ জন টিকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় দিনে আরো এক হাজার ৫৪৪ জন টিকা নিয়েছেন। সে তুলনায় দ্বিতীয় দিন টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৩২ জন বেড়েছে। ডা. বাসুদেব কুমার দাস আরো জানান, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের পর মানুষের ভয় কটেছে। সে কারণেই পরিসংখ্যান বলছে, দিনদিন করোনার টিকা নেওয়ার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তৃতীয় দিন চার হাজার ১৮১ জন এবং চতুর্থ দিনে ছয় হাজার ১৪৭ জন করোনার টিকা নিয়েছেন।
Leave a Reply