দখিনের খবর ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার মুখ বন্ধ করার জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। মির্জা কাদের বলেন, আজকের সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে আমাকে ধমক দেওয়া হয়েছে। বিভিন্নভাবে আমাকে শাসন করা হয়েছে। আমি যেন কিছুতেই সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করি। আওয়ামী লীগের মিটিং পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করবো। না হলে আমি আবার হরতাল ধর্মঘটের ডাক দেবো। আমার যে পদ-পদবী আছে তা প্রত্যাখ্যান করবো। গতকাল রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নোয়াখালীতে অন্যায়, অনিয়ম, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। মর্জা কাদের বলেন, আমার পরিবারকে হত্যা ও আমাদের বাড়িঘর উচ্ছেদ করার জন্য নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছেন। আমি বসুরহাট থেকে সন্ধ্যায় বের হয়ে যাবার সময়। সেদিন সেখানে আমার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত ওদের হামলা থেকে আমার জীবন রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় আমি ওবায়দুল কাদেরের কাছে বিচার চেয়েছিলাম। ওবায়দুল কাদের আমাকে ফোন করে শান্ত থাকতে বলেছিলেন। আমি হরতাল ধর্মঘটের কর্মসূচি দিয়েছিলাম। তার কথাতে সেগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা পিপড়াও ধরতে পারেনি। এখন যখন প্রতিবাদ করতে চাই। আমার মুখ বন্ধ করার জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব চক্রান্ত করছে, ষড়যন্ত্র করছে। মির্জা কাদের আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব হয়তো ক্ষমতার জন্য তার নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিতে পারেন। কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। যদি এটা প্রমাণ করতে পারেন। আমরা রাজাকার, তাহলে নিজে গুলি করে নিজেকে শেষ করে দিবো। তিনি বলেন, আমার ওপর এবং আমার পরিবারের ওপরে যারা হামলা করেছেন, আমার পরিবারকে রাজাকার পরিবার বলেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। নোয়াখালী থেকে অপরাজনীতি বন্ধ করা হোক। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেগুলো করা হোক। অরাজকতার নির্বাচন ভোটবিহীন নির্বাচন আমরা আর দেখতে চাই না। তারপর বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
Leave a Reply