দখিনের খবর ডেস্ক ॥ কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ এবং বাংলাদেশকে নিয়ে করা প্রতিবেদন ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর বিষয়ে এর রিটের ওপর অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মতামত শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বক্তব্য দেবেন। এরপর আদেশের জন্য দিন ধার্য করবেন হাইকোর্ট। এর আগে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, কামালুল আলম, প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, আবদুল মতিন খসরু ও শাহদীন মালিকের মতামত দেয়া শেষ। গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। অ্যামিকাস কিউরির মতামত শুনানির সময় আদালতে সংযুক্ত ছিলেন- রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ফারজানা শায়লা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ এবং ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনটি ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। পরে বুধবার আল জাজিরার প্রতিবেদন সরানোর বিষয়ে মতামত শুনতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার শুনানি হয়। ছয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, শাহদীন মালিক, কামালুল আলম ও প্রবীর নিয়োগী। ১০ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেছিলেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এরইমধ্যে আল জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখেছেন। বিটিআরসি এতদিন কী করল, তারা বন্ধ করল না কেন। আপত্তিকর কিছু সম্প্রচার বন্ধের বিটিআরসির ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন আদালতের কাঁধের ওপর বন্দুক রাখা হচ্ছে? এখন এগুলো বন্ধ করা আর না করা সমান। এরপর দেশে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধে ও ভিডিও সরাতে হাইকোর্ট কোনো আদেশ দিতে পারে কিনা, সে বিষয়ে মতামত জানতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন হাইকোর্ট। গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্প্রচার করে আল জাজিরা। যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সরকারিভাবে এই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
Leave a Reply