দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ফেনীতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা এবং জনপ্রতিনিধি মিলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মিজা বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, উন্মাদ, মাতাল, মাদকাসক্ত, দুঃচরিত্রবান। তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মির্জা কাদের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ফেনী শহরের একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সোনাগাজী উপজেলা চেয়াম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, দাগনভূঁঞা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন, ফেনী পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র নজরুর ইসলাম স্বপন মিয়াজী। সংবাদ সম্মেলনে জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, ‘আবদুল কাদের মির্জা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে রক্ষা পাবেন না কাদের মির্জা। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে আবার কথা বললে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নেতারা। তিনি আরও বলেন, ‘মির্জা কাদের সব সময় মাদক নিয়ে পড়ে থাকেন। সে একজন কিলার, খুনি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ। তার হাতে বহু মানুষ খুন হয়েছে। সে নারী আসক্ত। সব সময় নারী নিয়ে থাকেন।’ জেলা আওয়ামী লীগের এই বলেন, ‘কাদের মির্জা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের নামে বিদেশে পালিয়ে থাকা তারেক রহমানসহ বিএনপি, জামায়াতের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেন। ভিডিও করফারেন্সের মাধ্যমে তারেক রহমানের সাথে মিটিং করেন। ভবিষতে মওদুদ আহমেদের আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করার শর্তে তিনি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন।’ আবদুল কাদের মির্জাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার, দলীয় ও প্রশাসনিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা। সেখানে আবদুল কাদের মির্জাকে পাগল বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। তাকে দ্রুত পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগেরর নেতাকর্মীরা।