নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৭০ বছরের বৃদ্ধাসহ মেয়ে, পুত্রবধু ও নাতী নাতনীকে পিটিয়ে আহত ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে ঝালকাঠি উপজেলার ২নং বিনয়কাঠী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাহেরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিন ২নং মগড় ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ৭০ বছরের বৃদ্ধা খাদিজা বেগম তার মেঝ মেয়ে মায়া বেগম, পুত্রবধু রিনা বেগম ও নাতি নাতনীদের নিয়ে ২নং বিনয়কাঠী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাহেরদিয়া গ্রামে, ছোট মেয়ে জামাই বাড়ি বেড়াতে আসে। ছোট মেয়ে জামাইর পরিবারের সাথে একই এলাকার খলিলুর রহমানের পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিবাদ চলছিল। বেড়াতে আসা পরিবারটি বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে ঘুড়তে বের হলে ইলিয়াস হাং ২২ নামের যুবক তাদেরকে উদ্দেশ্য করে একটি ষাড় গরু ছেড়ে দিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করায়। ষাড় গরুর ধাওয়া খেয়ে পুত্রবধু ও নাতনীরা পানিতে পরে এসময় তাদেকে কটুক্তি করে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য, গালাগাল ও ইভটেজিং করে ইলিয়াসসহ অনন্যরা, এসব কিছুর পরও লাঞ্ছিত হওয়া পরিবারটি কোন প্রতিবাদ করে নি, কারন বেড়াতে আসা পরিবারটি জানে তাদের সাথে ঝামেলা পাকানোর জন্যই এসব করছে প্রতিপক্ষরা। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়ে জামাই বাড়ি বেড়াতে আসা পরিবারটি তাদের নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে, মেয়ে জামাই বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ইলিয়াস হাওলাদার (২২)পিতাঃ আব্দুল জাহাঙ্গীর হাং, সেলিম হোসেন পিতাঃ আতাহার আলী, খলিলুর রহমান, চান বড়ু বীবি(চান্দু) (৪৫) স্বামীঃআদম আলী হাং, পারভীন বেগম স্বামীঃ খলিলুর রহমান, খলিলুর রহমান পিতাঃ মৃতঃ করিমুল হাং, রিনা বেগম পিতাঃ খলিলুর রহমান, সেলিম হাং পিতা মৃতঃ আতাহার আলী হাং সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার সময় তাদের পরিধেও কাপড় টেনে খুলে ফেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য শেবাচিমে পাঠায়। আহত খাদিজা বেগম, মায়া বেগম, ও প্রিয়া শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। আহত মেঝ মেয়ে মায়া বেগম জানায় তাদেরকে মারধরের এক পর্যায়ে চান্দু আমার গলায় থাকা এক ভড়ি স্বর্নের হার ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়, অপরদিকে আহত পুত্র বধু রীনা বেগম বলেন ননদের বাড়িতে বেড়াতে এসে এমন হামলার শিকার হতে হবে চিন্তাও করি নি, আমার শ্বাশুড়িকে ওরা এলোপাতাড়ি ভাবে মারতেছে দেখে আমি তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমাকেও মারধর শুরু করে মারধরের মধ্যে আমার হাত থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় পারভীন বেগম যার মধ্যে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও মোবাইল এবং আমার ছেলের স্বর্নের চেইন ছিল। কান থেকে আমার একটি কানের দুলও ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ওসি মোঃ খলিলুর রহমান বলেন বিষয়টি মৌখিক শুনেছি, আহতদের চিকিৎসার পরমর্শ দিয়েছি, একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply