চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোঃ মোরশেদের নিরংকুশ বিজয়।এদিকে কর্মী সমর্থকদের নিরাপত্তা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হুমাযুন কবির সিকদার। গতকাল রোববার বিকাল তিনটায় এক সংবাদ সম্মেলণে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটিং মেশিনে ভোট কারচুপি ও কেন্দ্রে প্রভাববিস্তারের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী ছাড়াও বিএনপির আংশিক অংশের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ২৭ হাজার ৫শ’৮৩ জন ভোটার অধ্যুষিত চরফ্যাসন পৌরসভায় ১৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে মেয়র পদে ৩ জন,সাধারন কাউন্সিলর পদে ২৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করছেন।ভোটের দিন সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফ থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় কোন রকম আপত্তিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গ্রহন চলাকালে কালে নৌ-বাহিনী, বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশের টহলে মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে মেয়র পদে সরকারী ফলাফল অনুযায়ী চরফ্যাসন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ মোরশেদ (নৌক) প্রতীক পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯১৮ ভোট। এবং ভোট বর্জনের মধ্যে দিয়ে বিএনপি প্রার্থী হুমায়ুন কবির সিকদার (ধানের শীষ) প্রতীক পেয়েছেন ৭৪৭ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শরিফ হোসাইন (নারিকেল গাছ) প্রতীক পেয়েছেন ৭৮১ ভোট। বিপুল ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মোঃ মোরশেদ নির্বাচিত হয়েছেন। অপর দিকে পৌরসভা নির্বাচনে সাধারন সদস্য কাউন্সিলর পদে পৌর ১নং ওয়ার্ডে ফখরুল আলম স্বপন (পাঞ্জাবী) প্রতীক নিয়ে ১২শ’৯৫ ভোট পেয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আবুল খায়ের (উটপাখি) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯শ৬৭ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে মোঃ মফিজ (পানির বোতল) প্রতীক নিয়ে ৭২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নজরুল ইসলাম কিষান (পাঞ্জাবী) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬৭ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে (পাঞ্জাবী) প্রতীক নিয়ে মো. আবদুল মতিন মোল্লা ৫৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোঃমঞ্জু বাতান (উটপাখি) প্রতীক পেয়েছেন ৩৪৬ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে আকতারুল আলম সামু (পাঞ্জাবী প্রতীক) নিয়ে ১২শ’৩৮ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী তাপস চন্দ্র দাস (পানির বোতল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে গিয়াস উদ্দিন (ডালিম) প্রতীক নিয়ে ৬১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আকবর হোসেন (পানির বোতল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮০ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে সিদ্দিকুর রহমান মোক্তাদি (ডালিম প্রতীক) নিয়ে ৪৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোশারেফ হোসেন মুন্না (পানির বোতল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬৭ ভোট। ৯নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান মঞ্জু (উটপাখি) প্রতীক নিয়ে ৬৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আবদুল করিম মুন্সি (পাঞ্জাবী) প্রতীক পেয়েছেন ৬ ভোট। এছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১,২,৩ ওয়ার্ডে (আনারস) প্রতীক নিয়ে ফরিদা পারভীন আনারস প্রতীক নিয়ে ২৪শ ৩২ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ফাতেমা খাতুন হারমোনিয়াম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩’৮৫ ভোট। ৭.৮.৯ ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম (জবাফুল) প্রতীক নিয়ে ২১শ’৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী খাদিজা বেগম চশমা প্রতীক নিয়ে ১৩শ’৫৮ভোট পেয়েছেন। এবং পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য কাউন্সিলর হিসেবে মনির হোসেন ও ৭ নং ওয়ার্ডে মোস্তাহিদুল হক তানভীর বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবং সংরক্ষিত ৪.৫.৬ ওয়ার্ডে সদস্য পদে রেজওয়ানা পারভীন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।
Leave a Reply