দৌলতখান প্রতিনিধি ॥ কু-প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ভোলার দৌলতখানে সাথী (২৪) নামে এক গৃহবধূকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে তার ভাসুর আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কলাকোপা গ্রামের সরকার বাড়িতে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত সাথী বতর্মানে দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথী জানান, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের সরকার বাড়ীর মৃত হোসেনের ছেলে ইলিয়াছের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর পারিবারিক-ভাবে তার বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের দাম্পত্যজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। অভাব অনটনের কারণে স্বামী ইলিয়াস হোসেন ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। সংসারের বেহাল অবস্থা দূর করণের জন্য সে নিজেও বাড়ীতে গরু পালন ও চাষাবাদের কাজ করে আসছেন। স্বামীর অবর্তমানে নানা অযুহাতে ভাসুর আবদুল জব্বার প্রায় সময়ে তাকে মারধর করতো। শনিবার আবদুল জব্বার তাকে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর জন্য কু-প্রস্তাব দিয়েছিলো। কু-প্রস্তাবে প্রত্যাখান করায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলা-জখম হয়। স্থানীয়রা জানান, সাথীর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় এরকম অমানিবক নির্যাতন অত্যন্ত দুঃখজনক। অন্যদিকে অভিযুক্ত আবদুল জব্বার জানান, শনিবার রাতে সাথীর ঘরে চোর প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি সাথীর ঘরে প্রবেশ করেন। তাদের উপস্থিস্তি বুঝতে পেরে চোর সেখান থেকে সটকে পড়ে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জব্বার দাবী করেন। দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply