বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের কর্ণকাঠীতে অবৈধভাবে নদী দখল বাণিজ্য নিয়ে সুরুজ মোল্লা মিথ্যাচার করেছে বলে সাফ জানিয়েছেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন এ বিষয়ে সুরুজ মোল্লার দাবি আমি জ্ঞাত হলেও বাস্তবে আমি জ্ঞাত নই। গত ২১ জানুয়ারি বরিশালের সকল আঞ্চলিক সংবাদপত্র, জাতীয় সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে কর্নকাঠীতে শত কোটি টাকার নদী দখল বানিজ্যের খবর গুরত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়। পরের দিন স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় সুরুজ মোল্লার পক্ষ থেকে। এদিকে দখল বানিজ্যের খবর যখন প্রশাসন সহ সর্ব মহলে তোলপাড় শুরু হয় ঠিক তখনই খবর আসে ওমরা হজ্বের জন্য বরিশাল ত্যাগ করেছেন সুরুজ মোল্লা। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে তার সহকারী জানান তিনি ওমরা হজ্বের জন্য রওয়ানা দিয়েছেন। এদিকে জানা গেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে মেরিন একাডেমি সংলগ্ন স্থান হতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবৈধভাবে বাধ নির্মাণ করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছেন ভূমিদস্যু ও জমির দালাল সুরুজ। এছাড়া দাগ নং ৪৫১০ থেকে ৪৫৩৭ এবং ৪৭০১ থেকে ৪৭৪০ পর্যন্ত আট একর জমি নিজের সম্মত্তি বলে দাবী করছে সুরুজ। এ বিষয়ে প্রতিবেদন এর বক্তব্য চাইলে সাংবাদিকদের সুরুজ মোল্লা বলেন” এটা আমার বাপ দাদার সম্পত্তি, কোন সাংবাদিক প্রশাসনে কাজ হবেনা। যা পারেন করেন, বহু সাংবাদিক আসছে গেছে, লিখলে কিছুই করতে পারবেননা। “সিটি মেয়র জানেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন ” মেয়র সাহেব জানে, আমি সুরুজ মোল্ল। এ জমিও ভরাট সমন্ধে মেয়র সাহেব জানেন”বিষয়টি নিয়ে বরিশালের সিটি কর্পোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্ বলেন “প্রচলিত নদী রক্ষা আইন ও পরিবেশ আইন বিরোধী সকল কাজের সরাসরি বিরোধিতা করে এসেছি ইতিপূর্বেও। বাঁধটি সরেজমিনে এখনও দেখিনি, তবে নিয়মবহির্ভূত ও বেআইনি হলে শতভাগ নিশ্চিত থাকুন সংশ্লিষ্টদের ব্যাবস্থার জন্য সুপারিশ করবো। আর সুরুজ মোল্লা যদি বলে থাকে আমি অবগত আছি,তা মিথ্যাচার করেছেন। আমি কাওকে অবৈধ বাণিজ্য করতে বলিনি, জানিওনা”
Leave a Reply