দখিনের খবর ডেস্ক ॥ নোয়াখালীর ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, আবদুল কাদের মির্জাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, সে প্রথম আমাকে দিয়ে শুরু করছে। যাইতে যাইতে সে তার ভাবিসহ এবং ওয়ায়দুল কাদেরসহ বাংলাদেশের কোনো নেতা বাদ নেই। লাস্ট পর্যন্ত নেত্রীকে নিয়েও বলছে। সে পাগলকে সামলাইতে যাইয়া কিছু কারণবশত কারো কারো সাথে কারো টেলিফোনে কথা হইতেই পারে। গতকাল শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত ছয় দিন আমি ঢাকাতে ছিলাম। আমি নেত্রীকে কতগুলো ম্যাসেজ পাটিয়েছি উনি ম্যাসেজ গুলো দেখছেন। ঢাকায় যাওয়ার পর নেত্রীর সাথে যিনি সব সময় থাকেন। তিনি আমাকে বললেন, নেত্রী আপনাকে এতো ভালো জানেন। আপনি কেন ঢাকায় ঘুরছেন। আমি বলি যে আমাদের কমিটিটা দরকার। নোয়াখালী চালায় কে। আমি বললাম নোয়াখালী চালাই আমি। নেত্রী কি আপনাকে না চালাতে বলছে। আমি বলি না। নেত্রী জানে যে আপনিই চালাবেন নোয়াখালী। আপনি যাই নোয়াখালী চালাতে থাকেন। তিনি আরো বলেন, যারা অর্থের বিনিময়ে নমিনেশনের আশা করতেছেন। বিএনপি যেহেতু ভোটে আসবে না। এদিক-ওদিক যদি নৌকা চলেও যায়। আমি কিন্তু বেঠিক লোককে আমার জনগণকে আমি ভোট দিতে দেব না। যারা সঠিক লোক তাদের পক্ষে আমার অবস্থান থাকবে। একদম খারাপ লোক অর্থের বিনিময়ে নমিনেশন পাবে, তাকে ভোট দিবে এরকম কোনো দরকার নেই। কারা মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিল। এটা মানুষ ভুলে যায়নি। দুর্ব্যবহারকারীদের ভোট দেক, এটা এমপি হিসেবে আমি হোতে দিতে পারিনা। আমাদের দরকার জনগণের চেয়ারম্যান। আমাদের দরকার যে জনগণের পাশে থেকে আ’লীগকে সুসংগঠিত করতে পারবে। আ’লীগের নেতাকর্মীকে আপন করে নিতে পারবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ্যডভোকেট ওমর ফারুক, চর আমান উল্যাহ ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, চর ক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার আজাদ, সুবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আমিরুল ইসলাম রাজীব, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন জাবেদ প্রমুখ।
Leave a Reply