চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনের চরমানিকা ইউনয়নের যুবলীগ সভাপতি ইকবাল মাহামুদের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে তার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার দাবী করেছেন। তবে এলাকা বাসীর দাবী দাম্পত্য কলহে জের ধরেই তার মৃত্যু হয়েছে।একটি বিষেশ মহল ওই মৃত্যু নিয়ে টানাপোড়ানের সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা ও নিহতের পরিবার জানান, যুবদল নেতা ইকবাল মাহামুদ একটি মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঔষাধ কম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাছ করছিলেন। সম্প্রতি সময়ে তিনি একাধিক পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পরেন তিনি। এনিয়ে তার দাম্পত্য জিবনে কলহ শুরু হয়। গত রোববার কথিত এক নারীর সাথে পরকিয়া বিষয়টি তার স্ত্রীর সামনে প্রকাশে আসলে এনিয়ে তাদের সংসার জিবনে বিবাধ শুরু হয়। ওই বিবাধের জের ধরেই রোববার তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ তুলে তার স্ত্রী দক্ষিণ আইচা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে ওই রাতেই স্থানীয়দের সমযোতায় থানা পুলিশ তাকে মুক্তি দেয়। দাম্পত্য কলহলে মানষিক বিকারগ্রস্থ হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হলেও কিছু মহল দাবী করছেন তিনি আত্নহত্যা করেছেন। আবার কেউ দাবী করছেন দাম্পত্য কলহ নিয়ে মানুষিক চাপে তিনি হৃদযন্ত্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যু বরন করেছেন। এনিয়ে ওই এলাকায় টানাপোড়ন চলছে। দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসক বিকাশ মজুমদার জানান, গুরুতর ইকবাল মাহামুদকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কোন বিষ ক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়নি।নিহতের শরিরে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কোন আলামত পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রক্রিয়া বন্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্থন্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply