বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত আবাসন প্রকল্পে বেড়ে ওঠা শিশুরা

শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত আবাসন প্রকল্পে বেড়ে ওঠা শিশুরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও শিক্ষার প্রসারে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন করলেও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার গৌরনদী পৌরসভার বড়কসবা গ্রামের আবাসন প্রকল্পে বেড়ে ওঠা শিশুরা। আবাসন প্রকল্পে এক‘শ পরিবার বসবাস করলেও সেখানে স্থায়ীভাবে নির্মিত হয়নি কোন স্কুল। ফলে অকালেই ঝড়ে পরছে শিশুরা। জানা গেছে, ২০০৫ সালে জেলার গৌরনদী পৌরসভার টরকী বন্দর সংলগ্ন পালরদী নদীর পাড়ে বড় কসবা আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। ২০০৬ সালে প্রকল্পটি উদ্বোধণ করেন তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান। প্রকল্পে বর্তমানে এক‘শ পরিবারের বসবাস রয়েছে। এরমধ্যে শতাধিক শিশু রয়েছে। আবাসন প্রকল্পের প্রবীন বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন সরদার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আবাসন প্রকল্পটি নির্মান করা হলেও এখানে কোন স্কুল-মাদ্রাসা না থাকায় প্রকল্পের শিশুরা নিরক্ষরই রয়ে গেল। প্রকল্পে বসবাসকারী কালাম হাওলাদার, আব্দুল বারেক বেপারীসহ একাধিক বাসিন্দারা জানান, প্রকল্পটিতে কোন স্কুল না থাকায় এখানের কমিউনিটি সেন্টারে বিভিন্ন সংস্থা একেক সময় ভ্রাম্যমান স্কুল পরিচালনা করতো। কিন্তু এখন আর কোন সংস্থার স্কুল নেই। তারা আরও জানান, প্রকল্প এলাকা থেকে স্কুলগুলোর দূরত্ব তিন কিলোমিটার হওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। ফলে এখানের অধিকাংশ শিশু এখনো নিরক্ষর। আবাসন প্রকল্পের সভাপতি মোঃ আবুল কাসেম সরদার জানান, ২০০৫ সালে প্রকল্পের বসতঘরগুলো নির্মাণের পর অদ্যবধি কোন সংস্কার না করায় ঘরগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে টরকীর চর থেকে আবাসন কেন্দ্রে যাতায়তের জন্য একমাত্র সড়কটিরও বেহাল অবস্থা। ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তিনি আরও জানান, আবাসনে কোন স্থায়ী বিদ্যালয় না থাকায় বিভিন্ন সময় এনজিওর মাধ্যমে প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারটি স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু কমিউনিটি সেন্টারটিও দীর্ঘদিন যাবত জরাজীর্ণ। ফলে এখানকার অধিকাংশ শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে শিশু বয়সেই পরিবারের সদস্যদের সাথে কাজে যোগদান করে শিক্ষাজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরছে। আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য স্কুল নির্মানের পাশাপাশি আবাসনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com