বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামের কৃষক জালাল গাজী। এক একর জমিতে এ বছর তরমুজ চাষ করেছেন। শুক্রবার সকালে তিনি খেতে গিয়ে দেখেন, দুর্বৃত্তরা একে একে ৩৬০টি তরমুজগাছ উপড়ে ফেলেছেন। উপড়ে ফেলা এসব গাছ আঁটি বেঁধে থানায় নিয়ে এসে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। কৃষক জালাল গাজীর অভিযোগ, তাঁর আপন ভাই হেলাল গাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে হেলাল গাজী, তাঁর ছেলে লিমন গাজী ও শাহীন গাজী তাঁর সর্বনাশ করার জন্য এ তরমুজ চারাগুলো উপড়ে ফেলেছেন। তিনি আরও বলেন, তরমুজ রোপণের আগে হেলাল তাঁর তরমুজখেত নষ্ট করার হুমকি দিয়েছিলেন। জালাল গাজীর অভিযোগ ও স্থানীয সূত্রে জানা গেছে, হলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিলা গ্রামের কৃষক জালাল গাজী ৬০ হাজার টাকা খরচ করে এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেন। বর্তমানে ওই তরমুজগাছে ফল ধরেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই তরমুজখেতে এলোমেলোভাবে ৩৬০টি গাছ উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে জালাল গাজী খেতে গিয়ে তরমুজ চারা উপড়ে ফেলা দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। স্থানীয় লোকজন গিয়ে উপড়ে ফেলা তরমুজগাছ দেখতে পান। এতে তাঁর লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জালাল গাজী। শুক্রবার সকালে ওই উপড়ে ফেলা ৩৬০টি তরমুজগাছ জালাল গাজী আমতলী থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে জালাল গাজী বাদী হয়ে হেলাল গাজীকে প্রধান অভিযুক্ত করে থানায় তিনজনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয় নারী কৃষক ফরিদা বেগম ও কনা বেগম বলেন, শুক্রবার সকালে ডাকাডাকি শুনে জালাল গাজীর খেতে গিয়ে দেখেন, তরমুজের অনেক চারা উপড়ে ফেলা। রাতের আঁধারে শত্রুতাবশত কেউ এ চারাগুলো উপড়ে ফেলেছেন। এ ঘটনার পর নিজেদের খেত নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হেলাল গাজীর ছেলে শাহীন গাজী তরমুজ চারা উপড়ে ফেলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমার পরিবারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’ আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply