তুষার রায়হান ॥ আমাদের দেশে যোগাযোগের অন্যতম সহজলভ্য মাধ্যম হলো জলপথ। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, মাদারীপুর, চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের প্রধান বাহন হলো লঞ্চ। কিন্তু এ লঞ্চে যাতায়াত কতটুকু নিরাপদ? লঞ্চের মধ্যে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্যসেবা কি পাওয়া যায়? উত্তর হলো না। কোনা লঞ্চেই স্বাস্থ্যসেবা চালু নেই। অথচ লঞ্চ দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণ অঞ্চল ভোলা, বরিশাল থেকে ঢাকা মুখি শত শত মানুষ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জীবিকার তাগিদে অনিশ্চয়তা নিয়ে চলাচল করে। যাতায়াতের সময় টানা ১২-১৪ ঘন্টা পর্যন্ত লঞ্চে অবস্থান করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগে। আর এ সময়টাতে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। কারণ, এমন অনেকে আছেন, যারা নদীর উত্তাল ঢেউ, লঞ্চের ঝাঁকুনি, লঞ্চের খাবারম অস্বাস্থ্যকর গনশৌচাগার ইত্যাদি সহ্য করতে পারেন না, তারা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার লঞ্চের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তখন স্বাস্থ্যসেবা দুরের কথা, কারও কাছ থেকে সামান্য সহানুভুতিও পাইনি। দুরপাল্লার প্রতিটি লঞ্চে অস্থায়ী স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Leave a Reply