নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শীঘ্রই শুরু হচ্ছে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা। এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরিশাল জেলার জন্য ৪ হাজার ৫শ কিট পাঠানো হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে কম সময়ে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এর আগে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষাগারে নমুনা দিয়ে এক দিন পর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যেত। তবে অ্যান্টিজেন দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এখন বরিশাল মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হলে করোনা উপসর্গ থাকা আরো বেশি ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে। বিশেষ করে বিদেশগামী যাত্রীরা উপকৃত হবেন। তারা সহজে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাবেন। এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যান্টিজেনভিত্তিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল জেলায় নতুন করে ৪ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৯৬৩ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। এর আগে গত ৭ মার্চ করোনা সনাক্তের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিলো। গত এক সপ্তাহ ধরে করোনায় সংক্রমণের হার বাড়ছে। অপরদিকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫শ ৪০ জন বিদেশগামী যাত্রীর করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন ৩৬ জন। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রধান ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ কে এম আকবর কবির জানান, বরিশাল জেলা ছাড়াও বিভাগের ৫ জেলা থেকে করোনার উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমূনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২২০ নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছে। আর আরটি-পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। ফলে একদিনে সব নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছিল না। অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনার নমূনা পরীক্ষা শুরু হলে আরটি-পিসিআর ল্যাবের ওপর কিছুটা চাপ কমবে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়বে। অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে বিদেশগামী যাত্রীরাও সহজে রিপোর্ট পাবেন বলে আশা করেন ডা. আকবর কবির।
Leave a Reply