স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরের সদর রোডের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মিরণ হালদার নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ মার্চ) বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে আবাসিক হোটেল এরিনার ষষ্ঠ তলার ৬০৮নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় মরদেহের পাশ থেকে চেতনানাশক ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। মিরণ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের বরুণ হালদারের ছেলে ও বাকেরগঞ্জের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। হোটেল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মিরণ হোটেল এরিনার ষষ্ঠ তলার ৬০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন। এরপর রোববার দুপুর পর্যন্ত তার কোনো সারাশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাবি (মাস্টার কি) দিয়ে দরজা খুলে কক্ষের ভেতরে যান। এসময় পুলিশ মিরণের মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার হাতে ক্যানুলা পরা ছিলো এবং তার বিছানা ও ব্যাগের ভেতরে চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাত্রারিক্ত চেতনানাশক ওষুধের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। যদিও মিরণ হালদারের ভগ্নিপতি অভিজিৎ হালদার বলেন, মিরণ নেশাগ্রস্ত ছিলো না, এমনকি পরিবারের সঙ্গে তার কোনো বিরোধও ছিলো না। তবে কেন কীভাবে তার মৃত্যু হলো তা বুঝতে পারছি না। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর আসল কারণ বলা সম্ভব নয়। তার হাতে ক্যানুলা পরা ছিলো, যেখান থেকে রক্তক্ষরণও হয়েছে। বিছানায় চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে। তিনি জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে শনি ও রোববার দুইদিনে বরিশাল নগরের পৃথক দু’টি আবাসিক হোটেল থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। আর উভয় মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply