দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ওড়াকান্দিতে এসে বহু দিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলো। ওড়াকান্দিতে অবস্থিত ঠাকুরবাড়ি একভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থস্থান। গতকাল শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটের দিকে মন্দিরে পূজা দিয়ে মতুয়া নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত একবিংশ শতকের এই সময়ে অগ্রগতি লাভ করবে। শান্তি ও ভালোবাসার জন্য এই দুই দেশ বিশ্বকে পথ দেখাবে। তিনি বলেন, আজ আমি শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের পবিত্র এই ভূমিতে আসতে পেরেছি। হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের চরণে আমি মস্তক নত করে প্রণাম জানাই। অনেক আগে থেকেই এখানে আসার ইচ্ছা ছিল আমার। ২০১৫ সালে যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশ আসি তখনই ওড়াকান্দি আসতে চেয়েছিলাম আমি। তিনি আরো বলেন, আমি ভারতের ১৩০ কোটি জনতার ভালোবাসা নিয়ে এসেছি বাংলাদেশে। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পূর্ণ হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে। গতকাল ঢাকার প্যারেড গ্রাউন্ডের সংস্কৃতি অনুষ্ঠান মুগ্ধ করেছে আমাকে। আমি এখানে আসার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিক্ষেত্রে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও তার প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস সত্যিই অতুলনীয়। এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় নরেন্দ্র মোদিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও বরণ করে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান মোদি। এরও আগে এদিন সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা-প্রার্থনা করেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
Leave a Reply