চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনে জালদলিল সৃজনের মাধ্যমে আমেরিকা প্রবাসীর ২শ ৩৩ একর জমি জবর দখলের মামলায় ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক সামসুল আলম মিঠু এবং ভোলার এক সময়ের কাতিথ প্রভাবশালী সাংবাদিক আল আমিন শাহরিয়ারসহ ৪ জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মো. সাদিক আহমেদ জামিন আ্েবদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন। জানা যায়, আসামীরা পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে জাল দলিল সৃজন করে আমেরিকা প্রভাশী এহতেশামুর রহমানগংদের চরফ্যাসনের উত্তর চরফ্যাসন ও দক্ষিণ চর মাদ্রাজ মৌজার ২শ ৩৩ একর জমি আত্মসাতের চেষ্টা করেন। ঢাকা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ১৯৭৪ সনের আগস্ট মাসের ৩০ তারিখে রজিস্ট্রিকৃত ২৫১১৩ নং দলিলেল মাধ্যমে বিশাল পরিমান এই জমি আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। জমির প্রকৃত মালিক ও জাল দলিলেল কথিত দাতা এহতেশামুর রহমানগংদের পক্ষে আমোক্তার মুনসুর আহমেদ বাদি হয়ে দলিলটি চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সনের ৩ জানুয়ারী চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদাদলতে সিআর ০২/১৯ মামলা দায়ের করেন। মামলায় জাল দলিলেল গ্রহীতা বাখেরগঞ্জ জেলার গাগুরিয়া ইউনিয়নের রবিপুর সাকিনের আবদুস সালাম, ভোলার সাংবাদিক আল আমিন শাহরিয়ার, ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক সামসুল আলম মিঠু, রুস্তম আলী এবং ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকার গোলাম মোস্তফা ফারুকসহ ১২জনকে আসামী করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষ ভোলা সিআইডি গত বছরের ৩ নভেম্বর দুই সাংবাদিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। যার ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সাংবাদিক সামসুল আলম মিঠু ও আল আামিন শাহরিয়ারসহ ৪ আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানীর আদেশে বলেছেন, ১৯৭৪ সনের ৩ আগষ্ট দলিল সম্পাদনের সময় দলিলের ২ গ্রহীতার জম্মই হয়নি এবং দলিলের ৮ দাতার মধ্যে ২ জন ওই দলিল সম্পাদনের কথিত তারিখের অনেক আগেই মারা যান। এছাড়াও ঢাকা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ওই দলিলের কোন অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply