আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ৫এপ্রিল থেকে সপ্তাহব্যাপি চলমান লক ডাউন বাস্তবায়ন করতে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে অ-কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে লোক সমাগম করার অপরাধে বিভিন্ন পতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিকে ১১হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য জনসচেতনতামুল প্রচারাভিযানে সোমবার সকালে ও রবিবার বিকেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, আবুল হাশেম। অভিযানে লক ডাউনের সময়ে ব্যবসায়িরা অকারণে কোন পণ্যর দাম বাড়ানো এবং পণ্যর কৃত্তিম সংকট তৈরী করে অধিক মুনাফায় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের রিুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মো. আবুল হাশেম। ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, থানা পুলিশের সহায়তায় সোমবার সকালে উপজেলা সদর বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অকারণে দোকান খোলার দায়ে মেকার কেশব অধিকারীকে ৫শটাকা, চা দোকানী জাকির মোল্লাকে ২শ টাকা, টিন ব্যবসায়ি লিটন হাওলাদারকে ১হাজার টাকা, সহিদ সু স্টোরকে ৫শ টাকা, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ি মাস মার্কেটিংর মালিক সিদ্দিকুর রহমানকে ১হাজার টাকা, অভি টেলিকমের মালিক লিটন মন্ডলকে ১হাজার টাকা, এসএম মোবাইল সেন্টারের মালিক সবুজ আহম্মেদকে ১হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষনিক তা আদায় করেন আদালত। পরে আদালত গৈলা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। গৈলা বাজারে অভিযানে জিএম টেইলার্সের মালিক গৌতম সরকারকে ১হাজার টাকা, নীমতলা বাজারে ভাই ভাই এন্টার প্রাইজের মালিক আ. রশিদকে ৫শ টাকা, রথখোলা বাজারে সরদার ট্রেডার্সের মালিক হালিম সরদারকে ১হাজার টাকা, মদিনা স্টোর্সের মালিক সহিদুল ইসলামকে ১হাজার টাকা, পয়সা বন্দরে রড সিমেন্ট ব্যবসায়ি নিত্যানন্দ হালদারকে ১হাজার টাকা ও পথচারী নয়ন ভুইয়াকে ২শটাকাসহ সোমবারের অভিযানে ২০জনকে ১০হাজার ৪শ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করে আদালত। রবিবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অষুধ ব্যবসায়ি অসীম দাসকে ২শ টাকা, তোহা ফটোকপি দোকানে ২শ টাকা, চালক আদনান পাইককে ১শ টাকা, মামুন পাইককে ২শ টাকা, হাদিস পাইককে ২শ টাকা, হাবিব পাইককে ২শ টাকাসহ মোট ৬জনকে ১১শ টাকা জরিমান করেন। দুই দিনের অভিযানে মোট ২৭টি মামলায় ১২হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানের সময়ে আদালতের বিচারক মো. আবুল হাশেম স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাক্স ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
Leave a Reply