দখিনের খবর ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘হেফাজত নেতার নৈতিক অবনমনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তথ্যনির্ভর এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’ গতকাল সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে ধর্ম ব্যবসায়ীদের আঁতে ঘা লেগেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ ভেবেছে এ লজ্জাজনক ঘটনার পর তথাকথিত নেতারা জনসম্মুখে ক্ষমা চাইবেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে চোরের মায়ের বড় গলা।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদেশ পীর-আউলিয়া ও ওলামায়ে-কেরামের দেশ। এখানে ধর্মকে অধর্ম চর্চার হাতিয়ারে পরিণত করতে খোদ ইসলাম প্রিয় জনগণই দিবে না।’ হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের একজন নেতা সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে অনৈতিক ঘটনার পর তাদের ফোনালাপসহ অন্যান্য বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং একজন সুন্দরী মহিলাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেওয়া এখন আর গোপন নয়।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এসব অনৈতিক ঘটনার সমর্থনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের যে তান্ডবলীলা চলছে, তাতে এই উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। এই উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরুপ। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে টার্গেট করেই তারা তাদের পুরোনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চান।’ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা তাণ্ডব চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে দেশের জনগণ রয়েছে। যারা পেছন থেকে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উস্কানি দিচ্ছে এবং অর্থায়ন করছে তাদের মুখোশও উন্মোচন করা হবে।’ এদিকে গতকাল সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউনে সরকারের নির্দেশনাগুলো পুরোপুরি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আবারও উদাসীনতা না দেখিয়ে সকলকে শতভাগ মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানান তিনি।
Leave a Reply