ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া করোনা ভাইরাস আতংকে উপজেলা সদর শহর সাত ইউনিয়নের হাটবাজার সীমিত আকারে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে শহরের সমস্ত দোকান-পাটসহ সকল ধরনের মানুষ সমাগমের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ভান্ডারিয়া পৌর শহরসহ পুরো উপজেলার জীবনযাত্রা এখন স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে। তবে শহরের কিছু ঔষধের দোকান ও মাছ তরকারি বাজার খোলা থাকলেও তা ক্রেতা শূণ্য ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে সূত্রে জানাগেছে, রোববার বিকাল থেকে রাত অবধি প্রশাসন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আশু ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলার হাট বাজার ও মানুষের সমাগম সীমিত আকারে বন্ধে মাইকিং করে প্রচারণা চালায়। আজ সোমবার থেকে সকল ব্যবসায়িরা হাটবাজার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখেন। তবে কিছু ঔষধের দোকান ও কাঁচামাল এর দোকান খোলা থাকলেও একেবারে তা ক্রেতা শূণ্য অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলচল না করায় সড়কগুলোতে সুনশান নিরাবতা বিরাজ করছে। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ি মঞ্জু হাওলাদার বলেন, সারাদিনেও কোন ক্রেতা হাটে আসে নাই। দ্যাশে করোনা আইসা আমাগো গরীব মানুষের রুটি রুজি বন্ধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমূল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জনসমাগম কমাতে সীমিত আকারে হাটবাজার বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া আগামী মঙ্গলবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক হাটও বন্ধের ঘোষাণা দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রবাসিদের পরিবারকে তাদের স্বজনদের বাড়িতে অবস্থানের কঠোর নির্দেশনাও দিয়েছি।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাকসুদুর রহমান, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ২৮৫ জন প্রবাসি দেশে ফিরেছেন। তবে ৫২ জনকে আমরা হোম কোয়ারেন্টে নিয়েছি। বাকি ২২৩ জনের হদিস পাওয়া যাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও জানান আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পৈকখালী ও নয়াখালী গ্রামের দুই বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও একজন প্রবাসি ও একজন ঢাকাবাসিকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এসময় তারা ভ্রাম্যমান আদালতের টের পেয়ে একজন প্রবাসি ও একজন ঢাকাবাসি পালিয়ে যায়। পরে ঢাকাবাসীর সন্ধান পেলেও তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা পরে তার শরীরে তেমন কোন অসুবিধা না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসিদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
Leave a Reply