দখিনের খবর ডেস্ক ॥ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় চিহ্নিত নাশকতাকারীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে যারাই চিহ্নিত হবেন তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই আমরা মিটিংটি করেছি। আমরা দেখেছি বিনা অযুহাতে কয়েকজন নিরীহ লোক প্রাণ হারিয়েছেন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা মাদরাসার ছাত্রের চেয়ে বহিরাগতই বেশি ছিলেন। সাধারণ মানুষ বেশি ছিলেন। আমরা কারও প্রাণহানি ঘটুক সেটাও চাইনা। তিনি বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি কঠোর অবস্থানে যাবো। প্রয়োজনে জেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। জেলা পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বসে যেখানে যা প্রয়োজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সে ব্যবস্থা করবেন। ২৬ মার্চ হেফাজতের তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি জিনিস লক্ষ্য করেছি অতি সম্প্রতি উপজেলা ভূমি অফিস, তহসিল অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসবে অগ্নিসংযোগ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেই এলাকার জনগণ। সেখানে জমির মালিকানা, জরিপ ও নামজারির নিয়ন্ত্রণ করে ভূমি অফিসগুলো। তার রেকর্ডপত্র যদি পুড়ে যায় তাহলে ভুক্তভোগী হবে সেই এলাকার জনগণ। যেটা আমরা দেখেছিলাম স্বাধীনতার যুদ্ধে অনেক ভূমি অফিস পুড়ে গিয়েছিলো। ফলে অনেক বছর লেগেছিলো সেটা একটি সিস্টেমে আনার জন্য। হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সালথা উপজেলায় বিনা কারণে, বিনা উস্কানিতে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকেও আহ্বান করবো তারা যেন এগুলোর প্রতিবাদ করেন। মামুনুল হককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের হেফাজতে নিলে তাকে বাইরে দেখা যাচ্ছে কিভাবে। আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবসহ সবাইকে নিয়ে তিনি বাইরে ঘুরছেন। তিনি অপরাধ করলে মামলা তো হবেই, মামলা মামলার গতিতে চলবে। সেখানে কারও হাত নেই। যেই অপরাধ করেন মামলা হবেই এবং অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী আদালত তার বিচার করবে। আসাদুজ্জামান খান বলেন, কওমি মাদরাসা সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহামারির কারণে বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আমি অনুরোধ করবো সবাই যেন সরকারের এই নির্দেশনা মেনে কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের সহযোগিতা করেন। সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, জন্মদিনের উৎসবও বন্ধ করা হয়েছে। এই কয়েকটি দিন সবাইকে বলবো কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা কোনো জায়গায় যেন লোক সমাগম না হয় সেদিকে দিকে লক্ষ্য রাখা। হেফজখানাগুলো কি বন্ধ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হেফজখানাগুলো খোলা ছিলো তাদের অনুরোধে, তারা বলেছিলো হাফেজরা চর্চা না করলে ভুলে যাবে। সেইজন্যই তাদের অনুরোধে খুলে দেওয়া হয়েছিলো। আগে তো ২ হাজার বা ৩ হাজার আক্রান্ত হতো। এখন ৭-৮ হাজার আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আমরা সবকিছু বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
Leave a Reply