পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ কঠিন সমীকরণ নিয়ে বিগত সময়ে নানান অপকর্ম করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বলদিয়া ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বলদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডবাসীরা লিখিত আকারে অভিযোগ সহকারে তুলে ধরেন স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের কাছে। বর্তমান মেম্বার মোঃ আমিনুল ইসলাম সমাজ সেবার নামে এক ধরনের জিম্মি করেছে স্থানীয় অসহায় পরিবার সহ সাধারণ ভোটারদের। দূর্নীতির চরম বাসা বেধেছে স্থানীয় মেম্বারের কাজে কর্মের মধ্যে। সরকারি ঘর দেওয়া থেকে শুরু করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ৪০ দিনের কর্মসূচীতে দূর্নীতির সুস্পষ্ট ছাপ। পাশাপাশি সুকৌশলে সরকারী প্রাইমারি স্কুলে গাছ বিতরনেও দারুণ অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। আর হ্যা আমরা পর্যায় ক্রমে বর্তমান মেম্বারের দূর্ণীতির চিত্র তুলে ধরবো সুপ্রিয় পাঠকদের জন্য। স্থানীয় ভাবে বিগত সময়ে আমিনুল ইসলাম মেম্বার বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতায় চরম অনিয়ম করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। উরিবুনিয়ার মোসাঃ সাফিয়া বেগম, স্বামী আব্দুর রহিম। স্থানীয় বাসিন্দা অথচ সাফিয়ার স্বামী আছে কিন্তু বিধবা ভাতা দেয় স্থানীয় মেম্বার। এলাকার বেশির ভাগ মহিলারা অভিযোগ আকারে বলেন, স্বজন প্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে এজাতীয় দূর্নীতি করে আসছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। গর্ভবতী ভাতায়ও রয়েছে চরম অনিয়ম আর বহু অভিযোগ। এলাকায় সঠিক জবাবদিহিতা না থাকায় স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব বিস্তার করে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার মিশনে সফলতা পাচ্ছে। এদিকে বাদ যায়নি এলাকায় সরকারি ঘর নির্মাণেও। এলাকার এক ভুক্ত ভোগী লিখিত আকারে অভিযোগ গুলো তুলে ধরেন গণ মাধ্যম কর্মীদের কাছে। স্থানীয় মেম্বার ঘর দেওয়ার বিষয়ে নগত ত্রিশ হাজার টাকা দাবী করে। ঘর পাওয়ার আশায় স্থানীয় এক এন জি ও থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এরপর ঐ সময়ে টাকা নিয়ে মেম্বারের বাড়ীতে যায় কিন্তু যাওয়ার পর হত দরিদ্র লোককে বলে তুমি ঘর পাবে না। সরেজমিনে গণ মাধ্যম কর্মীরা উরিবুনিয়া এলাকায় যান সঠিক তথ্য উদঘাটন করার নিমিত্তে। আসলেই দূর্ণীতি বাসা বেধেছে স্থানীয় পর্যায়ে বেশীরভাগ ইউপি সদস্যদের। গণ মাধ্যম কর্মীরা অভিযোগের সত্যতা পান। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন মুঠোফোনে। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর উনি ব্যাস্ত আছে বলে ফোন কেটে দেয়। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ শাহীনের সঙ্গে কথা হয় জেলা ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে। তিনি অকপটে স্বীকারও করেন, আমি ও অনেক কিছু লোকমুখে শুনেছি। তবে কোন লিখিত আকারে অভিযোগ পাইনি। অবশ্য নির্বাচন মুহূর্তে কিছু করা যাবে না। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পেলে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার আছেন। সর্বশেষ এলাকাবাসীর গণ দাবী সঠিক তথ্য উদঘাটন করে আইনি ব্যবস্থার দাবী জানান।
Leave a Reply