নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ লকডাউনের ৫ম দিনে দোকানপাঠ খুলে দেয়ায় বরিশালের বাজারে মানুষের ভিড় বেড়েছে। ক্রেতার চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে বিভিন্ন নিত্য পন্যের দাম। কিন্তু বাজারে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত হচ্ছে চরমভাবে। অপরদিকে লকডাউন বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা এবং বাজার নজরদারিতে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। লকডাউনে বরিশালের বাজারঘাট আগে থেকেই খোলা ছিলো। প্রসাধনী ও পোষাক ব্যবসায়ীদের দাবি ছিলো দোকান খুলে দেয়ার। সরকার শুক্রবার থেকে সারা দেশে শপিং মলসহ দোকানপাঠ খুলে দেয়ার ঘোষনা দেয়ায় নগরীর অন্যতম বৃহত্তম বানিজ্যিক কেন্দ্র চকবাজার, কাঠপট্টি, সদর রোড ও গীর্জা মহল্লার সব দোকান খুলেছে। পোষাক, প্রসাধনীসহ অন্যান্য দোকানগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা করে বেঁচাকেনা করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তবে এরপরও অনেকাংশে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি। এদিকে নিত্য পন্যের দোকানে আগের চেয়ে ভিড় বেড়েছে। রমজান সামনে রেখে নিত্য পন্যের বাজারে চাহিদার চেয়েও বেশি পন্য কিনছেন ক্রেতারা। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে শুক্রবার ১৫ টাকা কেজি দরের আলু ২০ টাকা এবং ১৭ টাকা কেজি দরের পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য নিত্য পন্যের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। প্রচুর সংখ্যক ক্রেতা একই সময়ে বাজারে ভিড় করায় স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত হচ্ছে চরমভাবে। বিশেষ করে নগরীর পোর্ট রোডের পাইকারী মৎস্য বাজারে সকালে ছিলো অসহনীয় ভিড়। অনেকের ছিলো না মাস্ক। নিত্য পন্যের বিক্রেতারা বলছেন, রমজান সামনে রেখে ক্রেতারা অতিরিক্ত পন্য কেনায় বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে বেড়েছে বিভিন্ন পন্যের দাম। বাজারে কেউ স্বাস্থ্য বিধি মানছেন আবার কেউ করছেন অবহেলা। তবে বিক্রেতারা ক্রেতাদের শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্য বিধি রক্ষার তাগিদ দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। অপরদিকে বাজার নজরদারি, লকডাউন বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় শুক্রবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর বাজার রোড ও চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাস্ক বিহীন ৩জন ব্যক্তিকে ১শ টাকা করে ৩শ টাকা জরিমানা করা ছাড়াও স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় নানা পরামর্শমূলক লিফলেট বিতরন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার বিশ্বাস।
Leave a Reply