চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনের শশীভূষন জমি বিরোধের জের ধরে ফারুক(৩২) নামের এক স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার শশীভূষণ সদরের এ, মালেক মহিলা মাদ্রসা সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত স্কুল শিক্ষককে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় তার বাবা সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আহত স্কুল শিক্ষক ফারুক উত্তর চর মানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক ও রসুলপুর ৩নং ওয়ার্ডের সাইফুল্ল্যাহর ছেলে। চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুল শিক্ষক ফারুক অভিযোগ করেন,রসুলপুর ইউনিয়নের শশীভূষণ মৌজায় ৪৮৯ও ৪৪৫ নং খতিয়ানে ফিরোজা বেগম ও ফারুক মিয়ার কাছ থেকে ৩৮ শতাংশ জমি তার মা হোসনে আরা খরিদ করে ভোগদখলে আছেন। সম্প্রতি সময়ে আবু তাহের ও ইউসুব ওই জমির মালিকানাদাবী করে জমির দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিশ হয়। স্থানীয় শালিশরা তার মা হোসেন আরা বেগমের অনুকুলে শালিশের রায় দিয়ে তার জমি বুঝিয়ে দেন। আবু তাহের ও ইউসুব শালিশদের রোয়দাদ নামা উপেক্ষা করে ফের জমি দখলের চেষ্টা চলালে তারা সম্প্রতি সময়ে শশীভূষণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। জমি বিরোধ নিয়ে শশীভূষণ থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় শালিশ চলমান রয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে আবু তাহেরের নেতৃত্বে ইউসুব, শাসুদ্দিন, কাইয়ুম, সেতারা বেগমসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাদের দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলণের চেষ্টা করেন। এসময় তিনি শশীভূষণ থানা পুলিশের সহয়তায় ঘর উত্তোলনে বাধা দেন। ঘর উত্তোলনে বাধা দিয়ে পুলিশ চলে আসার পরপরই আবু তাহেরগংরা দলবল নিয়ে আমার ওপর আর্তকিত হামলা চালিয়ে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আমাকে উদ্ধারে থানার মাঝি আলম ও স্বজন বাবুল সরদার এগিয়ে এলে তাদের ওপর ও হামালা চালিয়ে মারধর করেন। অভিযুক্ত আবু তাহের জানান, ওই খতিয়ানে আমাদের জমি রয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি হোসনে আরা ও তার ছেলে ফারুক জবর দখল করে রেখেছেন। শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় উভয় পক্ষের পৃথক পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ দুইটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply