নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে চলমান লকডাউন এখন শুধুই কাগজে-কলমে। বাস্তবে এর কোন কার্যকরিতা নেই। হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, মার্কেট সর্বত্র লোকে লোকারন্য। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষনায় শেষ সময়ে বাড়তি কেনাকাটাসহ প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করতে রাস্তায় প্রচুর মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এর মধ্যেও লকডাউনসহ স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় নগরীতে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় ১টি প্রতিষ্ঠান এবং ১৪ জনকে আর্থিক দন্ড দেয়া হয়। সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের শেষ দিন ছিলো রবিবার। আজও নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য আড়ত, বাজার রোড, চকবাজার, কাঠপট্টি, গীর্জা মহাল্লাসহ বিভিন্ন বানিজ্যিক কেন্দ্রে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কঠোর লকডাউন আতংকে বেশী বেশী পন্য কেনেন অনেকে। মানুষের ভিড়ের কারনে নগরীর সদর রোডে দফায় দফায় সৃষ্টি হয় জানজটের। ব্যাংক-বীমায়ও ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। কিছু মানুষ মাস্ক পড়লেও এখনও মাস্ক বিহীন ঘোরাফেরা করছেন অনেকে। মাস্ক না পরাসহ শারীরিক দূরত্ব অনুসরণ না করায় স্বাস্থ্য বিধি লংঘিত হচ্ছে প্রতিটি জায়গায়। এ অবস্থায় লকডাউন বাস্তবায়নসহ স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় নগরীতে আজ পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাকী দাসের ভ্রাম্যমান আদালত সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বাংলাবাজার, সাগরদী এবং পোর্ট রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাস্ক না পরাসহ স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করায় ১১ জন ব্যক্তিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অপরদিকে জেলা প্রশাসনের অপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান নগরীর সদর রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই কারনে ৩ জন ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ২শ টাকা জরিমানা করেন।
Leave a Reply