দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনায় আক্রান্ত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন ভালো আছেন। তার হালকা জ্বর ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ নেই। তবে তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজকালের মধ্যেই সিটি স্ক্যান করাবেন তিনি। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই সিটি স্ক্যান করানো হবে। তবে তার মনোবল অত্যন্ত শক্ত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভালো। খাওয়াতেও রুচি আছে। বেগম জিয়ার চিকিৎসার সমন্বয় করছেন তার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান। আজ বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ফিরোজায় ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। এসময় চিকিৎসক দলের সদস্য বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আব্দুস শাকুর খান, ইউরোলিজিস্ট অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিক জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি স্টেবল আছেন। গত দু’দিনে ম্যাডামের অবস্থা আর বর্তমান অবস্থার রিপোর্ট করেছি। তাতে আমরা দেখেছি, তার শারীরিক অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তার অক্সিজেন সেচুরেশন ভালো আছে। ব্লাডের রিপোর্টও ভালো আছে। তবে গতকাল রাতে উনার জ্বর ছিল, আজ সকালেও জ্বর ছিল একশর মতো। তবে তিনি ভালো আছেন। মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, দুই একদিনের মধ্যেই ম্যাডামের সিটি স্ক্যান করানো হবে। এতে বোঝা যাবে ফুসফুসে কোনো সংক্রমণ আছে কি না। অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিক বলেন, কোভিডের পরিভাষায় ম্যাডাম এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে আছেন। আর কোভিডের সব বড় সমস্যা হয় দ্বিতীয় সপ্তাহেই। তাই সে বিষয়েও আমরা সতর্ক আছি। আমরা এখন তার সিটি স্ক্যান করাব। কোভিডে বলা যায় না কখন কী অবস্থা হয়। তাই আমরা সিটি স্ক্যান করার পর বলতে পারব তাকে বাসায় রাখবো নাকি কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালে নেবো। সেটা পরে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। খালেদা জিয়ার মানসিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি নিজেই বলেছেন যে, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সেটা ফিল করছেন না। টেস্ট না হলে তো কিছু বুঝতামই না। তাতে বলা যায়, তার মানসিক অবস্থা ভালো আছে। কোথায় সিটি স্ক্যান করা হবে জানতে চাইলে ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, কোথায় করবো তা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। সময় মতো আপনাদের জানিয়ে দিবো। তবে দ্রুত সময়ের মাঝে করবো। গত বছর সারাবিশ্বে মহামারি করোনা ছড়িয়ে পড়লে শর্ত সাপেক্ষে সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। প্রায় ২৫ মাস (কারাগার ও বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেল) কারাভোগের পর তিনি ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্ত হন। বিএসএমএমইউ প্রিজন সেল থেকে মুক্তির পর গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply