নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জে গরিবের অর্থ ইউপি সদস্যের (মেম্বর) পকেটে বাকেরগঞ্জে গরিবের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড বাবদ এ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন ওই ইউপি সদস্য। স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব আলী আকন দুর্গাপুর গ্রামের অসহায় গরিবের জন্য সরকারি সাহায্য বাবদ ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করে বছরে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ভুক্তোভোগী একাধিক সূত্র জানান, ইউপি সদস্য ইউসুব আলী আকন দুর্গাপুর গ্রামের শাহ আলম খন্দকারে কাছ থেকে ভিজিডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা নিয়েছেন। ভিজিডির কার্ড না দিয়ে আরও ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। কান্না জড়িত কণ্ঠে শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমার ঘরে ৬ জনের খাবার জোগাড় করতে হয়। সবাই ভিজিডি চাল পায়, আর আমি তার চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় ভিজিডির চাল পাই না। কর্মসূচির কাজেও আমার নাম আছে মেম্বর এলাকার লোক দিয়ে কাজ না করিয়ে দক্ষিনা লোক দিয়ে কাজ করিয়ে গরিবের টাকা আত্মসাৎ করেন। একই ভাবে দুর্গাপুরের নাজমিন বেগমের নামে ভিজিডি কার্ডে তালিকায় নাম থাকলেও তার চাল পায় অন্য কেউ। প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ জেসমিন আক্তারের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে আরও এক হাজার টাকার জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দিচ্ছেন না ইউপি সদস্য। ২ হাজার টাকা দিয়েও ভিজিডি কার্ড পাচ্ছেন না শাহ আলম সিকদার। হোচেন আলীর বয়স্ক ভাতা ২ মাস দিলেও তার বয়স হয় নাই বলে তাকে আর ভাতা দিবেন না জানিয়ে দিয়েছেন ইউপি সদস্য। জাতীয় পরিচয় পত্রে তার বয়স ৬৭ বছর। একইভাবে তার প্রতারণার শিকার আয়শা বেগম টিউবয়েল দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়ে দেড় বছর পর টাকা ফিরত দিয়ে বলেন টিউবয়েল চেয়ারম্যান সাহেব দিবেন না আপনার টাকা আমার পকেট থেকে দিলাম। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ইউসুব আলী টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ দিতেই পারে তদন্ত করে যদি প্রমাণ হয় তাইলে আমি দোষী। সূত্র: যুগান্তর।
Leave a Reply