নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ লকডাউনের ৫ম দিনে বরিশালের রাস্তাঘাটে যানবাহন এবং মানুষজন বেড়েছে। আগের চেয়ে অনেক দোকানপাঠ খুলেছে। অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আগের চেয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। তারা কঠোরভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে। অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি এবং লকডাউন বাস্তাবায়নে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ৭ দিনের লকডাউনের প্রথম কয়েক দিন ভালোভাবেই বাস্তবায়ন হচ্ছিলো বরিশালে। সময় যত যাচ্ছে তত শিথিল হচ্ছে লকডাউন। রবিবার ৫ম দিনে প্রচুর সংখ্যক মানুষ বেড়িয়েছে রাস্তায়। নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য আড়ত, বাজার রোডসহ নগরীর প্রতিটি বাজারে প্রচুর সংখ্যক মানুষের ভীর দেখা গেছে। এসব স্থানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর সদর রোড, গীর্জা মহল্লা সহ অন্যান্য সড়কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ দেখা গেছে। রাস্তায় বেড়েছে রিক্সা সহ ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল। যদিও নগরীর ৩টি প্রবেশদ্বারে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রন করার কথা জানান মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম। এছাড়া নগরীর অন্যান্য এলাকায়ও অপ্রয়োজনীয় যানবাহন এবং মানুষজনকে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরিয়ে দেয়া হয় বলে তিনি জানান। এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে নগরীতে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাকী দাসের ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১১জন ব্যক্তি ও ৫ প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেন। জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা।
Leave a Reply