এ ধরনের জঘন্য ঘটনায় জড়িতদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত : হাইকোর্ট
দখিনের খবর ডেস্ক ॥ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসায় যৌন নির্যাতনের শিকার এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ মোহাম্মদ ইউসুফকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এ ধরনের জঘন্য ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। আদালত ওই অধ্যক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেখানে যৌন নির্যাতনকারী শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া প্রয়োজন ছিল, সেখানে উল্টো নির্যাতনের শিকার ছেলেটিকে মারধর করা হলো। উল্টো বিচার করেছে সে। ওই অধ্যক্ষও সমানভাবে দোষী। তাই তিনি এ মুহূর্তে জামিন পেতে পারেন না। তার আরো কিছুদিন কারাগারে থাকা দরকার। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মাদরাসা অধ্যক্ষের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজের আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান। লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রতিষ্ঠিত আত-তামরীন ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কুরআন মাদরাসায় একজন শিক্ষক দ্বারা বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ১০ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার দেওয়া হয় অধ্যক্ষের কাছে। অধ্যক্ষ ভবিষ্যতে এ রকম আর ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেন এবং তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। পরবর্তী সময়ে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার করেন ওই অধ্যক্ষ। মাদরাসার সুনাম নষ্ট করার অভিযোগে তাকে মারধর করা হয়। এটা জানার পর শিশুটির মা ও আত্মীয়-স্বজন পুলিশকে জানালে পুলিশ শিশুটিকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করে এবং অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে গত পহেলা মার্চ গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পরদিন শিশুটির মা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ। এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে আদালত উল্লিখিত মন্তব্য করেন।
Leave a Reply