স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল ॥ কমিটির সদস্য পদে না থেকেও তিনি নিজেকে ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি দাবি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছেন। ভূয়া পরিচয়ে তিনি পোষ্টার ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। তার একের পর এক বির্তকিত কর্মকান্ডে বরিশাল ও ঝালকাঠীর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা চরম বিব্রতকর অবস্থায় পরেছেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রকৃত নেতৃবৃন্দরা জরুরি ভিত্তিতে বির্তকিত ব্যক্তি একটি জর্দ্দা কোম্পানীর মালিক শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি করেছেন। ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বরকত খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাসেম মোবাইল ফোনে বলেন, মহানগর (উত্তর) জাতীয় শ্রমিক লীগে শামীম আহমেদ নামে কোন সহ-সভাপতিতো দূরের কথা সদস্যও নেই। শামীম আহমেদ নামের এক ব্যক্তি ভুয়া সহ-সভাপতি দাবি করছেন বলে শুনেছি। খুব শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে শামীম আহমেদ নিজেকে ঢাকা মহানগর (উত্তর) শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি দাবি করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যানারে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং পোষ্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলিয়ে স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছেন। সূত্রমতে, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামে শামীম আহমেদ তার নিজের জর্দ্দা কোম্পানীর নামানুসারে শাহী ৯৯ নামের একটি পার্ক নির্মান করেছেন। পার্ক নির্মানে ভূয়া দলীয় পদের প্রভাব খাটিয়ে তিনি সরকারি ডোবা দখল করে ভরাট করেছেন। তার (শামীম) নিজ এলাকা ঝালকাঠিতে সম্প্রতি সময়ে শটগান উচিঁয়ে শোডাউন দিয়ে তিনি আরও বির্তকের সৃষ্টি করেছেন। এমন কি ঢাকা মহানগর (উত্তর) শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি দাবি করে শামীম আহম্মেদ ঝালকাঠি পৌরসভায় মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নও চেয়েছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতারা বলেন, শামীম আহমেদ আওয়ামী লীগের কোন সহযোগী সংগঠনের সাথেও জড়িত নেই। সে নিজেকে ঢাকা মহানগর উত্তরের শ্রমিক লীগের সহসভাপতি দাবি করলেও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তাও ভূয়া। এ ব্যাপারে শামীম আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০১৯৯৯-৮০৯৯৯৯) একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply