বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ন্যায্য মূল্যের দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয়ের নামে ফটোসেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সরেজমিন সত্যতাও পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় করোনাকালীন জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করণের লক্ষে ১০ দিনের একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যে সব খামারীরা করোনাকালীন দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করার জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না তাদের কাছ থেকে ডিম, দুধ ও মাংস সংগ্রহ করে প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে ক্রেতা সাধারণের মাঝে তা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার কথা। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজন ওই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে ব্যানার সাটিয়ে ফটোসেশন করে আসছেন। গত ১৩ এপ্রিল থেকে এধরনের প্রতারনা কার্যক্রম সাধারণ জনগনের কাছ থেকে অভিযোগ আসছে। সোমবার রাহুতকাঠিতে একটি ব্যাটারি চালিত অটোতে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কেন্দ্র নামে একটি ব্যানার টানিয়ে খালি গাড়ি নিয়ে ঘোরার সময় সরেজমিনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি তাদের ওই গাড়ির সাথে পাবলিক দাঁড় করিয়ে ফটোসেশন করতে দেখা যায়। খানপুরা ষ্টেশনের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন, দেলোয়ার হোসেন, রাহুতকাঠী বাজার ব্যবসায়ী মোঃ সজল, পান্নু জানান, ব্যানারে লেখা ডিম, দুধ ও মাংস বিক্রয় কেন্দ্র। অথচ তারা কোন ডিম, দুধ ও মাংস সংগ্রহ বা বিক্রয় করেননি। আমাদের কিছু ক্রেতাকে ব্যানারের সামনে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে নিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকেরা। ব্যানারের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজনের কাজের কোন মিল না থাকায় প্রতারণা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা খামারীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। বিভিন্ন মালামাল ন্যায্য মূল্যে বিক্রির দায়িত্বে আছেন এলডিডিপি প্রকল্পের ডা. রেহানা। বাবুগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ গোলাম মাওলা। তিনি আরো বলেন, ১০দিনের এ কর্মসূচিতে সরকার কোনো বরাদ্দ দেয়নি। এলডিডিপি প্রকল্পে নিয়োজিত লোকজন খামারিদের মালামালা বিক্রয়ে সহযোগিতা করছেন। এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমীনুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যে সব খামারীরা করোনাকালীন দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করার জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না তাদের কাছ থেকে ডিম, দুধ ও মাংস সংগ্রহ করে প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে ক্রেতা সাধারণের মাঝে তা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার কথা। কিন্তু তারা যদি সেটি না করে তা দুঃখজনক বলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। অপরদিকে বাবুগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ গোলাম মাওলা বলেন, এলডিডিপি প্রকল্পের নিয়োজিত বিক্রয়কর্মী জনগনের কাছে কোনো মালামাল বিক্রি না করে ফটোসেশন করছে তিনি আজ গাড়ির সাথে থেকে বিষয়টি তদারকি করবেন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply