চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনে ডায়রিয়ায় প্রকোপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু, নারী ও পুরুষ মিলে চরফ্যাসন সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৫ শতাধিক রোগী। শয্যা সংকটের কারনে হাসপাতালের মেঝে এবং বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন আক্রান্ত রোগীরা। সাধারন রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়ার রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা। গতকাল মঙ্গলবার চরফ্যাসন হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সুত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে বেড রয়েছে ১৫টি। ১০ এপ্রিলের শুরুর দিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও গত সপ্তাহে প্রতিদিন অর্ধশত আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশী। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫ শতাধিক রোগী আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তন্মধ্যে কিছু রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেও প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন নতুন করে আরোও অর্ধশত রোগী। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যান্ত প্রায় ২৫০জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে তবে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রাখতে শয্যার সংকট থাকলেও আক্রান্তদের জন্য পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ঔষাধ মজুত রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। জরুরী বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, চরফ্যাসনে হঠাৎ ডায়রিয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া কর্তব্যরত নার্সদের আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম হলেও সঠিক ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আক্রান্ত রোগীদের। তবে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় শয্যার অভাবে হাসপাতালের মেঝে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চরফ্যাসন হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ শোভন বসাক জানান, সিজনের কারণে মূলত এই সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া মানুষের অসচেতনতাও ডায়রিয়ার কারণ। আমরা সাধ্যমতো রোগীদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু ও নারী। হাসপাতালে যে পরিমান স্যালইন ও ঔষাধ যা মুজুত আছে তাতে এভাবে আক্রান্তে সংখ্যা বাড়তে থাকলে এক সপ্তাহ চলবে। স্যালাইনের যাতে সংকট না হয় সেজন্য সিভিল সার্জন অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply