নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। বিয়ের একদিন পরে সোমবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় ওই তরুণী হাজির হয়ে লিখিত এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন নগরীর সাগরদী এলাকার মো. শুক্কুর আলীর ছেলে। রবিবার অভিভাবকদের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন। এর একদিনের মাথায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং গর্ভপাতের অভিযোগ উঠল। তবে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে জসিম উদ্দিন বলেন, ওই তরুণী তার আত্মীয়। আর তিনি রবিবার পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করেছেন। এরপরই অজ্ঞাত কারণে তরুণী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে ওই তরুণীকে দিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, এক তরুণী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেলে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হবে। থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন তার আত্মীয়। তিন বছর আগে কৌশলে তার মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে নেন জসিম উদ্দিন। এরপর তিনি প্রায়ই ফোন দিতেন। পরবর্তীতে তারা দেখা করেন। ওই সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন জসিম। তিনি রাজি না হলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জসিম ফোন দিয়ে জানতে পারেন তার বাসায় কেউ নেই। এ সুযোগে জসিম তার বাসায় গিয়ে হাজির হন এবং তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে জসিম বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে তার গর্ভপাত করান। তরুণী আরো উল্লেখ করেন, পরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন জসিম। সর্বশেষ গত ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই তরুণীর বাসায় যান জসিম এবং রাত্রিযাপন করেন। এসময় জসিম দুদিনের মধ্যে বিয়ের কথা বলে রাতে ধর্ষণ করেন। দুইদিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিয়ের জন্য চাপ দিলে এড়িয়ে যেতে থাকেন। সম্প্রতি ফোন দিলে জসিম জানান, অভিভাবকদের পছন্দের মেয়েকে তিনি বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে তিনি থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
Leave a Reply