স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৫১২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালী জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের দৈনিক ডায়রিয়া রোগীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভাগের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ভোলা জেলায় ৩২৫ জন, পটুয়াখালীতে ৩২১ জন, বরগুনায় ২৫৬ জন, বরিশালে ২৪৭ জন, ঝালকাঠিতে ২৩৯ জন ও পিরোজপুরে ১২৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ মাসে ৩২ হাজার ১৮৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। যারমধ্যে সর্বোচ্চ ভোলায় আট হাজার ৯০ জন, পটুয়াখালীতে ৭ হাজার ৩৪১ জন, বরগুনায় ৪ হাজার ৮৪৯ জন, বরিশালে ৪ হাজার ৩৬৯ জন, পিরোজপুরে ৪ হাজার দুইজন এবং ঝালকাঠিতে ৩ হাজার ৫৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ মাসের বেশি সময় ধরে বরিশাল বিভাগে যে পরিমাণ মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তারমধ্যে অর্ধেকের বেশি আক্রান্ত হয়েছে গেলো এক মাসে। গেলো মাসে বরিশাল বিভাগে মোট ১৭ হাজার ৬৭২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মাসিক হিসেবে গত একমাসের মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন গত সাতদিনে। গত ৭ দিনে বরিশাল বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২০ জন। আর গত সাড়ে ৩ মাসের বেশি সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত ৭ দিনেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে বরিশাল জেলায় চারজন এবং পটুয়াখালী ও বরগুনায় দুইজন করে চারজন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, অতিরিক্ত গরমে অনিরাপদ পানি ও খাবার খাওয়ার ফলেই ডায়রিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে। তবে এ বছর হঠাৎ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় প্রতিটি কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এদিকে, গত দুইদিন বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আইভি স্যালাইন সঙ্কট দেখা দিলে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের নেতারা ব্যক্তি উদ্যোগে তা সংগ্রহ করে রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হয়। এদিকে সঙ্কট চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে ৯২ টাকা মূল্যের খাবার স্যালাইন ১২০ থেকে ২০০ বা তার অধিক মূল্যে বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। যদিও চাহিদা অনুযায়ী সরকারিভাবে বাড়তি স্যালাইন সরবরাহ করায় এখন এ সঙ্কট নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
Leave a Reply