পিরোজপুর প্রতিনিধি: ” আমি এক পাহারাদার, চুরি করা আছে সাদ্য কার ” আর হ্যা সেই পাহারাদারই আোর ঠেকাতে নয় বরং নিজেই চুরি করতে গিয়ে অবশেষে ধরা ! গতকাল পিরোজপুর জেলার মধ্যে নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠীর সেহাঙ্গল কাচা বাজারের ঘটনা।সেহাঙ্গল বাজার সংলগ্ন ব্রীজের উন্নয়ন মূলক কাজ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মঠবাড়ীয়ার বর্তমান মেয়রের। দীর্ঘদিন ধরে কাজের দায়িত্ব পালন করে আসছিল প্রতিষ্ঠানের স্টাফ ও ম্যানেজার মোঃ শাহিন। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, গত রাতে (বৃহস্পতিবার) প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মোঃ শাহিন তার দায়িত্ব পালন শেষে ঘুমাতে যায়। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাত্র দ্বিপ্রহরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠাননের তিন পান্ডিল রড বিক্রি করার নিমিত্তে ভ্যানে করে নিয়ে যায়। এত রাতে রড নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটা খটকা লাগে স্থানীয় বেশকিছু শিক্ষিত বেকার ছেলেদের। এদিকে ঘটনার রাতে ভুলে বাসা থেকে বের হয় বেশ কয়েকজন তরুনরা।রাত আনুমানিক প্রায় ১ টার দিকে হঠাৎ দেখতে পায় বাজারের মধ্যে একটা ভ্যানে করে রড নিয়ে যাচ্ছে চালক মিলন হালদার । সচেতন তরুণরা সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ভ্যান চালক মিলনকে বহু প্রশ্ন করা হয়। মিলন অকপটে ঝটপট উত্তর দেন। কোন রকম ভনিতা না করেই সরাসরি বাজারের পাহারাদার মোঃ বাবুলের কথা বলেন। বাবুলই ভ্যানে রড তুলে দেয় বলে জানান। তবে মুহূর্তের মধ্যে পাহারাদার ছিটকে পড়েন গণ পিটুনির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। মিলনের কথা অনুযায়ী বহু গোপন তথ্য বের হয়ে আসে জনসম্মুখে। বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে থাকে এলাকার অনেকেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের মোঃ শাহিনের সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের । সাফ সাফ কথা আমাদের এখান থেকে বহু সিমেন্ট চুরি হয়েছে। বহু রডও চুরি হয়েছে বিগত সময়ে । প্রথম থেকেই বাজারের পাহারাদারকে সন্দেহ করা হলেও কিছু বলা যায়নি। কিন্ত আজ এলাকার তরুণ প্রজন্মের সতর্কতায় চোর চক্রের প্রধান গড ফাদারের নাম জনসম্মুখে উন্মোচিত হল। প্রশাসনকে সমগ্র বিষয়টি নিয়ে অবগত করা হয়েছে। চুরি হওয়া তিন বান্ডিল ( ৩০০ কেজি) রড স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় রাখা হয়েছে। বর্তমান বাজার ধরা অনুযায়ী দাম প্রায় ২৩০০০ টাকার মত। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। বর্তমানে চোর চক্রের প্রধান গড ফাদার বাজার পাহারাদার মোঃ বাবুল পলাতক রয়েছে বলে এলাকার লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও ঘটনার সত্যতা শতভাগ স্বীকার করেন। তবে একন পর্যন্ত কোন ধরনের মামলা হয়নি বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানান। এদিকে এলাকার বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ এ কে এম সবুর তালুকদারও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি অকপটে বলেন, প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হোক। আমি নির্বাচনে ভোট পাবো কিনা তা জানিনা। তবে বিগত সময় থেকেই সেহাঙ্গল এলাকায় চুরি ডাকাতির মাত্রা ছিল অতি মাত্রায়। তাই চোর চিরকালই চোর তাই আমাদের ইউনিয়নের বদনাম ঘুছতে সকল অপরাধের কঠিন শান্তি হোক। আমি ভালো কাজ করলে জনগণ ভোট দিবেন।
Leave a Reply