আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলীর চুনাখালী হাট-বাজারের ইজারাদার কর্তৃক হাটের নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্যত্র হাট-বাজার বসিয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও সরকারের লাখো টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চুনাখালী হাট-বাজারের জন্য বাংলা ১৪২৭ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারাপ্রাপ্ত হন মাওলানা মো. ফজলুল হক। ইজারাপ্রাপ্ত ওই হাট-বাজারে ধান, চাল ও ডাল ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান থাকা সত্ত্বেও ইজারাদার বেশি লাভের আশায় সরকারি অনুমতি ব্যতিত প্রায় দেড় কিলোমটির দূরে পটুয়াখালী-আমতলী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের মহিষকাটা বাসস্ট্যান্ডের সড়কের দুপাশে হাট-বাজার বসিয়ে নিয়মিত খাজনা আদায় করছেন। এতে ওই সড়কে চলাচলরত পণ্যবাহী ও অন্যান্য যান চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ধান ও ডাল ব্যবসায়ী বলেন, যেখানে বিক্রেতার খাজনা পরিশোধ করার কথা সেখানে আমরা যারা ক্রয় করতে আসি ইজারাদার আমাদের কাছ থেকেও খাজনা আদায় করে থাকেন। খাজনা না দিলে আমাদেরকে ওই হাট-বাজারে বসতে দেওয়া হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো এক ব্যবসায়ী বলেন, ধানের বস্তা প্রতি ১৫ টাকা ও ডালের বস্তা প্রতি ২০ টাকা করে ইজারাদার খাজনা আদায় করে থাকেন। স্থানীয় মো. খোকন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, প্রতি শনিবার মহিষকাটা বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ২ হাজার মণ ধান ও ডাল ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। এখানে হাট বসিয়ে ইজারাদার অবৈধভাবে খাজনা আদায় করেন এবং সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে থাকেন। স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা হাটের নির্ধারিত স্থানে ধান, চাল ও ডালের বাজার বসানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়। এ প্রসঙ্গে হাটের ইজারাদার মাওলানা মো. ফজলুল হক মুঠোফোনে মহিষকাটা বাসস্ট্যান্ডে ধান ও ডালের বাজার অবৈধভাবে বসানোর কথা স্বীকার করে বলেন, চুনাখালী বাজারে যাওয়ার সড়কটি ভালো না হওয়ায় এখানে হাট বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, প্রতি শনিবার চাল, ডাল ও ধানের বাজার বিট দিয়ে থাকি। যারা বিট নিয়ে খাজনা আদায় করে তারা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলে তাদের আর বিট দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে উপজেলা হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply