দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আগামীকাল সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ২১ লাখ ডোজ টিকা আসবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন। ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ রাখায় বাংলাদেশে টিকার মজুদ কমে আসছে। এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ শুরু হয় দেশে। করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ চলছে। দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই মাস বন্ধ থাকার পর আবার ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে টিকার চালান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম রোববার বলেন, ‘বেক্সিমকো আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ টিকা দিচ্ছে। এ ছাড়া কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের উৎপাদিত ১ লাখ টিকা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি চীন থেকে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার নেওয়া হবে। যেহেতু টিকা শেষের আগেই আমরা পাচ্ছি, তাই আশা করি কোনো সংকট হবে না।’ ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশে করোনার টিকা রপ্তানি স্থগিত করে ভারত সরকার। ২১ এপ্রিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনেওয়ালা বলেন, ‘টিকা রপ্তানির কোনো নিশ্চয়তা নেই এবং এই মুহূর্তে আমরাও মনে করছি, এমন সংক্রমণের সময়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে আমাদের রপ্তানির দিকে তাকানো উচিত হবে না।’ সিরাম সিইও বলেন, ‘হতে পারে জুন-জুলাইয়ে আমরা আবারও সামান্য পরিমাণে টিকা রপ্তানি শুরু করতে পারি। তবে এই মুহূর্তে আমরা দেশকেই অগ্রাধিকার দিব।’ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে গত শনিবার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেন, টিকা আনার জন্য সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পাপনের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে জানতে চাওয়া হয়, বেক্সিমকো কবে টিকা দেওয়ার কথা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছে? উত্তরে অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, গত পরশু বেক্সিমকো তাদের ২০ লাখ টিকার কথা জানিয়েছে।
Leave a Reply