বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুরের স্থানীয় এক মসজিদ কমিটির সভাপতিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে সুদ ব্যবসায়ীরা। বিসমিল্লাহ বাজার জামে মসজিদের সভাপতি মো. শাহ আলম বেপারী (৭০) সুদের কুফল তুলে ধরে মন্তব্য করায় তাকে ব্যবসায়ী হারুন ও রফিক সিকদারসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে। গত শনিবার বিকেলের এই ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও জড়িত কাউকে আটক করেনি। এদিকে বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরেক দফা সুদ ব্যবসায়ীদের হামলার শিকার হন সভাপতির ছেলে সাব্বির বেপারী। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কয়েকটি পরিবার সুদ ব্যবসার সাথে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ে। শনিবার বাদ আসর মসজিদ কমিটির সভাপতি শাহ আলম বেপারী সুদের কুফল মুসুল্লিদের উদ্দেশে তুলে ধরে নানান মন্তব্য করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা চা দোকানি হারুন সিকদার, রফিক সিকদার তাকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি শুরু করে। সভাপতিসহ উপস্থিত মুসুল্লিরা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে রফিক সিকদার ছুটে এসে বৃদ্ধ মো. সাহ আলম বেপারীকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে সভপতি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ এবং মুসুল্লিরা বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেন। খবর পেয়ে বিকেলে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করেনি। অপর একটি সূত্র জানায়, পরবর্তীতে এশার নামাজ শেষে সভাপতির ছেলে সাব্বির বাবার ওপর হামলার ঘটনায় মুসুল্লিদের কাছে বিচার চাইলে তাকেও মারধর করে হারুন ও রফিকেরা। এমনকি তাকে মসজিদ থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দেয়। এবং বিষয়টি নিয়ে আগামীতে বেশি বাড়াবাড়ি করলে নিজেদের দোকানে অগ্নিসংযোগ করে তাকেসহ স্বজনদের ফাঁসানোর হুমকিও দেয়। এলাকায় সুদের ব্যবসা বন্ধসহ বাবার ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন সাব্বির বেপারী। এবং এ ঘটনায় তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Leave a Reply