স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশালে পিস হিসেবে তরমুজের লট কিনে উচ্চ দরে কেজি হিসেবে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। এতে ঠকছেন ক্রেতারা। বড় সাইজের একেকটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে হাজার টাকায়। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে এখন রসালো মৌসুমী ফল তরমুজ। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। এ অবস্থায় চড়া দামে তরমুজ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। তরমুজের দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অসাধু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তীব্র গরমে রসালো মৌসুমী ফল তরমুজের অনেক চাহিদা। পবিত্র মাহে রমজানে রসালো এই ফলের কদর আরও বেড়ে যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তরমুজ নিয়ে অসম বাণিজ্যে মেতেছে অসাধু বিক্রেতারা। বড় সাইজের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে হাজার টাকায়। বর্তমানে আকার ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। অথচ মৌসুমের শুরুর দিকে বড় সাইজের একটি তরমুজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ আড়াই শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পিস হিসেবে লট কেনা তরমুজ বিক্রি করছে কেজি দরে। যা কোনদিন দেখেননি বরিশালের মানুষ। কম দামে পিস হিসেবে তরজুম কিনে বেশী দামে কেজি দরে বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। হঠাৎ করে তরমুজের দাম বৃদ্ধি এবং পিস হিসেবে কেনা তরমুজ কেজি হিসেবে উচ্চ দামে বিক্রির পক্ষে নানা অজুহাত দাড় করিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। মোকাম থেকে উচ্চ দরে কেজি হিসেবে তরমুজ কিনে খুচরা বাজারে সামান্য লাভে বিক্রির কথা বলেন তারা। কম দামে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে বেশী দামে কেজি হিসেবে বিক্রির সত্যতা পেয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১জন তরমুজ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত। তরমুজের দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সুব্রত কুমার বিশ্বাস। বরিশালে এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভাগের ৩ জেলায় এবার ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়। হেক্টর প্রতি ৩২টন হিসেবে বরিশালে এবার ৭ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে।
Leave a Reply