আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ আগৈলঝাড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্তর সংখ্যা। গত ৪দিনে ১৭ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও আউডডোরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কখনও ঠান্ডা আবার কখনও গরম। এমন বৈরী আবহাওয়ার কারনে দিনে দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। মহামারি করোনাকালে হঠাৎ করে উপজেলাজুড়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা। উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ জন। এছাড়াও আউডডোরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ৪ দিনে উপজেলার কাশেমাবাদ গ্রামের জামান সরদারের ১৪ মাসের ছেলে, পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের মিলন মুন্সির আট মাসের ছেলে তসলিম মুন্সি, মধ্য শিহিপাশা গ্রামের ইমাম সরদারের ১৫ মাসের মেয়ে সারা, ফুল্লেশ্রী গ্রামের হিমেল হোসেনের ১৩ মাসের মেয়ে তায়েবা, উত্তর শিহিপাশা গ্রামের আব্দুর রহমানের ৩ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ, মাদরা গ্রামের নিমাই সমদ্দারের ২ বছরের ছেলে বিশাল, খান্তাকাটা গ্রামের খোকন আকনের ছেলে রুবেল আকন (৩২), চাঁদত্রিশিরা গ্রামের গনি বাহাদুরের ছেলে রাসেল বাহাদুর (৩২), উত্তর শিহিপাশা গ্রামের ফারুক মোল্লার ১ বছরের ছেলে রেদওয়ান, জয়রামপট্টির আলাউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে আলী আহম্মেদ (৪০), বাগেরহাটের হামিদ শেখের ৫ মাসের ছেলে রাতুল, মুন্সিরতাল্লুক গ্রামের পিঙ্কর মন্ডলের ৮ মাসের ছেলে দিসান্ত মন্ডল, আস্কর গ্রামের অরুন অধিকারীর ৫ মাসের ছেলে তুর্য অধিকারী, সেরাল গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ১৯ মাসের মেয়ে আসফিয়া আক্তার, গৈলা গ্রামের রনি বেপারীর ১০ মাসের মেয়ে নুহা, একই গ্রামের আসিক বাড়ৈর ৭ মাসের ছেলে প্রিতম বাড়ৈ, একই গ্রামের এস এ কাদেরের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৫০)সহ ১৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও আউডডোরে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রতিদিন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন বলেন, ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর এ সময়টাতে আলাদা প্রস্তুতি থাকে স্বাস্থ্য বিভাগের। তবে বর্তমান সময়ে বিগত দিনের থেকে আক্রান্তের সংখ্যাটা একটু বেশিই। চলতি মাসের শুরু থেকে করোনার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ থেকে রোধ পেতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বিশেষ করে সবাইকে নিরাপদ খাবার গ্রহণ ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। উপজেলা হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য সব ধরনের ঔষধ ও স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে। যার কারনে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তির সাথে সাথেই সব ধরনের ঔষধ পাচ্ছে। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য বিশেষ করে দিনে গরম, রাতে শীত এবং নিরাপদ খাবার গ্রহন না করার কারণেই ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এই সময়ে সকলকে সচেতন থাকারও পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। ডায়রিয়া রোধে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
Leave a Reply