মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
আমরা স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিইনি, অবহেলা করেছি

আমরা স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিইনি, অবহেলা করেছি

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আমরা স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিইনি, অবহেলা করেছি। যার ফলাফল আমরা করোনায় পেয়েছি। করোনা মহামারিতে আমরা কতটা অসহায়, সেটা দেখেছি। শুধু আমরাই নই, পৃথিবীর কোনো দেশই স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেয়নি। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএসএমএমইউর ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য আমাদের আরও বেশি এগিয়ে আসা দরকার। করোনা আমাদের দেখিয়েছে স্বাস্থ্যসেবার যদি বিপর্যয় ঘটে, তাহলে মানুষের কী অবস্থা হয়। দেশের সব উন্নয়ন থেমে যায়, দেশে শান্তি থাকে না, সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের বাজেট জিডিপির মাত্র ০.৯%। আমরা কাজ করছি জিডিপিতে এটাকে ৯/১০ শতাংশ করতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। করোনা মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও ভালো কাজ করছে। তারা আলাদা করে বড় একটি করোনা ইউনিট স্থাপন করেছে। এখানে টিকা কার্যক্রমও সফলতার সঙ্গে চলছে। জাহিদ মালেক বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে সামলে নিয়েছিলাম। বর্তমান সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ সম্পর্কে আমরা সচেতন না হলে সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে। তখন অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। এ কারণে করোনার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যখন করোনায় মৃত্যু তিন-চার জনে নেমেছিল, তখন মানুষ ভেবেছিল করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষ অনীহা দেখাচ্ছিল। কক্সবাজার, সিলেটসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ভ্রমণ করেছে। অধিক হারে বিয়ের অনুষ্ঠান, পিকনিকসহ নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এসব কারণেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিনে প্রায় শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সময় মতো সরকার ‘লকডাউন’ ঘোষণা করায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব হয়ত সামনেই কমে যাবে। টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরুতে খুব ভালোভাবেই টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাঝ পথে ভারত টিকা বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের থেমে যেতে হয়েছে। আপনারা জানেন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবু বিকল্প হিসেবে আমরা রাশিয়ার টিকা অনুমোদন দিয়েছি, যেন আমাদের টিকা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে পারি। এছাড়া কেউ যদি দেশে টিকা বানাতে চায়, সে সুযোগও আমরা দিচ্ছি। আমরা বলেছি, যে কেউ টিকা বানালে আমরা তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আমাদের দেশে কয়েকটি ফ্যাক্টরি রয়েছে, যেখানে তারা টিকা তৈরি করতে পারে। আমরা চাই তারা টিকা বানিয়ে আমাদের দেশের মানুষকেও দিক এবং দেশের বাইরেও রফতানি করুক। বিএসএমএমইউ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্যশিক্ষা এবং চিকিৎসা গবেষণায় যতগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা জানি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা হয়, হাজার হাজার শিক্ষার্থী এখানে উচ্চশিক্ষা লাভ করে ডাক্তার হয়। এখান থেকে চিকিৎসক হয়ে সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাস করে চিকিৎসকরা বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। সম্মানজনক অবস্থায় তারা কাজ করছেন। আমরা গর্বিত এ প্রতিষ্ঠানের জন্য। বিভিন্ন দেশ থেকে এসে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন অনেকে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা আরও উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে যাক। যতো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা লাগে আমরা করব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com