রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি ॥ অবশেষে পিআইও অফিসের চেয়ার ছাড়তে হল শামসুল হককে। চাকরি থেকে অবসরে গিয়েও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শামসুল হক চেয়ার না ছেড়ে বহাল তবিয়তে টিআর-কাবিটার প্রকল্প থেকে ঘুষ-বাণিজ্য করছিলেন। তার থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদ-মাদ্রাসাও। সেই বরাদ্দেরও ৩০-৪৫ শতাংশ ভাগ নিতেন তিনি। অবশেষে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের পর শুক্রবার বিদায় ঘণ্টা বেজেছে তার। প্রতিবেদনটি নজরে এলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে এবং এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জানা গেছে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি অবসরে যাওয়ার পরও কর্মস্থল না ছেড়ে শামসুল নিয়মিত অফিস করতেন। কিন্তু ঘুষ-বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশের পর তাকে অফিস না করতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে শুক্রবার সকালে শামসুল কর্মস্থল ছেড়ে নিজ গ্রামের বাড়ি দুমকি উপজেলার লেবুখালীর কার্তিকপাশা গ্রামে চলে যান বলে জানান পিআইও হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, পিআইও অফিসে জনবল সংকট থাকায় প্রক্রিয়াধীন কাজ সম্পন্ন করতে তাকে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনার পর ইউএনওর নির্দেশে তাকে অফিস ছাড়তে বলা হয়। কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়ে সে নিজ গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং আমাদের নজরে এসেছে। এরপরই শামসুলকে অফিস আসতে নিষেধ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয় জানান এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন। এখন তদন্তপূর্বক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply