অনলাইন ডেস্ক ॥ তরমুজ কান্ডে বরিশালসহ গোটা দেশ যখন অস্থির, ঠিক তখনই অধিক মুনাফালোভী কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে নতুন করে আলোচনায় এসেছে রসালো ফল আম। সময় না হলেও অপরিপক্ক পাকা আমে ছেয়ে গেছে নগরীসহ জেলার অধিকাংশ বাজারের ফলের দোকানগুলো। অধিক মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা মানবদেহের জন্য চরম ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো অপরিপক্ক আম বিক্রির জন্য প্রদর্শন করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এসব অপরিপক্ক পাকা আম চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দারের কঠোর নির্দেশে তরমুজের মূল্য স্থিতিশীল রাখার চলমান অভিযানের পাশাপাশি বাজার থেকে অপরিপক্ক আম অপসারণে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ। অভিযানের প্রথমদিনেই নগরীর তিনটি ফলের আড়তে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও ধ্বংস করা হয়েছে ১২০ কেজি অপরিপক্ক আম। শনিবার জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হাই এবং রয়া ত্রিপুরা’র নেতৃত্বাধীন পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নগরীর পোর্টরোড ও ফলপট্টি এলাকার ফলের আড়ৎ দত্ত বাণিজ্যালয়কে ১৫ হাজার, বরিশাল ট্রেডার্সকে ৬ হাজার এবং আরিফ ফ্রুটস নামক প্রতিষ্ঠানের মালিককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। পাশাপাশি জব্দকৃত ১২০ কেজি আম জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, এখনো আম পাকতে শুরু করেনি কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে অপরিপক্ক আম পাকিয়ে অধিকমূল্যে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো। এমন খবর পেয়ে মাঠপর্যায়ে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে অপরিপক্ক আম পাকিয়ে বিক্রির ব্যাপারে শেবাচিমের চিকিৎসক ডাঃ মাহাবুব আলম মীর্জা বলেন, বাজারে আসা এসব আম খেলে অসুস্থ্য হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। রাসায়নিক পদার্থ মেশানো আম খেলে কিডনী সমস্যাসহ নানারোগের পাশাপাশি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য এসব আম মারাত্মক ক্ষতিকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply