দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে বিভিন্ন মহলের চাপে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এম এ মুবিন খান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানী ঢাকা ও জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও ট্রেন এবং লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। ভ্রমণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। যে মাসে সংক্রমণ বেড়েছে, সেই মাসে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি প্রায় ২৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভারতেও করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনার মধ্যে নির্বাচন, হোলি খেলা, বিয়ে অনুষ্ঠান করায় তাদের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। আমাদের সতর্ক হতে হবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকবে।’ ‘আমাদের রোগীর সংখ্যা কমেছে। আমাদের এক সঙ্গে ১২ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহের সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণের হার সক্ষমতার বাইরে চলে গেলে আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো না। যত দ্রুত সম্ভব অক্সিজেন জেনারেটর মেশিন আমদানি করতে ইতোমধ্যে সরকারকে সুপারিশ করা হয়েছে’, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চিকিৎসায় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। সেখানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ এবং ডাক্তার ও নার্সের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এতে অন্যান্য রোগের চিকিৎসার মানও বাড়বে।’
Leave a Reply